অক্টোবর ০৯, ২০২৩ ১৭:৩২ Asia/Dhaka
  • মৃত্যু ঝুঁকিতে খালেদা জিয়া, দ্রুত বিদেশে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ মেডিকেলে বোর্ডের

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগমখালেদা জিয়াকে লিভার প্রতিস্থাপনে জরুরিভিত্তিতে বিদেশে নেওয়া দরকার বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। আজ সোমবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা এ তথ্য জানান।

মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেশি। লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য জরুরিভিত্তিতে বিদেশে নেওয়ার দরকার। সংবাদ সম্মেলনে মেডিকেল বোর্ডের সমন্বয়ক ডা. এস এম সিদ্দিকী বলেন, খালেদা জিয়ার পেটে ও বুকে পানি জমেছে। সেই পানি ঝরছে। লিভার জীবাণু আক্রান্ত হয়ে গেছে। অসুস্থ খালেদা জিয়াকে আর বাসায় নেওয়ার মতো অবস্থা নেই। তাকে এখন আমাদের উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হচ্ছে। তিনি মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে আছেন। আরও আগেই খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

তারা জানান, লিভার সিরোসিসসহ নানা শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত খালেদা জিয়া। তার বুকে ও পেটে পানি চলে এসেছে। বাংলাদেশে তারা আর তেমন কোনো চিকিৎসার অপশন নেই। খালেদা জিয়ার পেটের ও বুকের পানি বের করা এবং অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া ছাড়া আর কোনো চিকিৎসা নেই দেশে। উনার মৃত্যুঝঁকি অনেক বেশি। লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য জরুরিভিত্তিতে বিদেশে নেওয়া দরকার।

চিকিৎসক এস এম সিদ্দিকী বলেন, বেগম জিয়ার শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হওয়ায় এ পর্যন্ত চার ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। এখন উন্নত চিকিৎসাই একমাত্র ভরসা। দুই বছর আগে টিপস পদ্ধতিতে চিকিৎসা হলে বেগম জিয়ার পেটে ও হৃদযন্ত্রে রক্তক্ষরণ হতো না। উনার অবস্থাও এত আশঙ্কাজনক হতো না বলে জানান চিকিৎসক।

তিনি দাবী করে বলেন, বাংলাদেশে টিপস ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট (প্রতিস্থাপন) হয় না। ২০০৬ ও ২০০৮ সালে বারডেমে পরীক্ষামূলকভাবে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট চালু হলেও সেটি অব্যাহত রাখা যায়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন আগে পরীক্ষামূলক চালু হয়েও আবার বন্ধ হয়ে গেছে।

খালেদা জিয়ার দেশে আর কোনো চিকিৎসা নেই জানিয়ে মেডিকেল বোর্ডের সমন্বয়ক বলেন, আপাতত উনার (বেগম জিয়ার) চিকিৎসার জন্য আমরা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে পারছি। শুধু অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করার ফলে উনার অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স হয়ে যাচ্ছে। পরবর্তীতে উনার ওপর হয়ত আর কোনো অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করবে না। #

পার্সটুডে/বাদশা রহমান/রেজওয়ান হোসেন/৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ