'বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশিদের থাবা পড়েছে'
অর্থনীতি ও গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই: সিইসি
দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ (সোমবার) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, দেশের মানুষ, অর্থনীতি, গার্মেন্টস বাঁচাতে এবং গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই। এছাড়া বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশিদের থাবা পড়েছে বলেও জানান সিইসি।
তিনি বলেন, আমাদের গণতন্ত্রে মাঝেমধ্যে ধাক্কা আসে। চাইব শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধরে রাখতে ও সাংবিধানিক ধারা বজায় রাখতে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সিল মারাটা নির্বাচনের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। পেশিশক্তির ব্যবহার করা, কালো টাকা ব্যবহার করা এবং কারচুপি করা, দীর্ঘদিন ধরে চর্চার মাধ্যমে একটা অপসংস্কৃতির চর্চা হয়ে গেছে। ক্রমান্বয়ে এ থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।
প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রত্যেকের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। আমরা দেখতে চাই, ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে আসছেন, ভোট দিচ্ছেন। ৭ জানুয়ারিতে নির্বাচন হবে। ভোটের দিন ১০ গুণ মনোযোগ দেবেন। আমরা চাচ্ছি অবিতর্কিত ফলাফল।
প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন কমিশন এককভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। তাই সকলে মিলে দায়িত্ব পালন করলেই নির্বাচন সুষ্ঠু করা সম্ভব।
এসময়, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সদস্যদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্তি সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। আর নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম সবাইকে আন্তরিক পেশাদারিত্বের মধ্যে সর্বোচ্চ শান্তিপূর্ণ সু্ষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর বলেছেন, জাতিয় নির্বাচনে কোন ধরনের ত্রুটি যাতে না হয়, সেজন্য সবাইকে আগেভাগেই সকল ধরনের প্রস্তুতি শেষ করতে হবে।#
পার্সটুডে/বাদশা রহমান/আশরাফুর রহমান/২৭