ভোটের জোটে আসন সমঝোতার নানা চেষ্টা, ডামি স্বতন্ত্রের নানা কৌশলে ক্ষমতাসীনরা
(last modified Thu, 07 Dec 2023 10:27:01 GMT )
ডিসেম্বর ০৭, ২০২৩ ১৬:২৭ Asia/Dhaka

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটের জোটে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলো। তফসিল ঘোষণার পরে আসন সমঝোতা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। দেনদরবার শেষ হয়নি এখনো। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতার দাবি ছিল ১৪ দলের শরিকদের। আসন ধরে ভোটের প্রস্তুতি এগিয়ে নিতেই এমন চাওয়া ছিল তাদের। কিন্তু এর ঠিক উল্টো অবস্থানে আওয়ামী লীগ।

বিএনপিবিহীন নির্বাচনে শুরু থেকেই আসন সমঝোতা নিয়ে কৌশলী ক্ষমতাসীনরা। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে নমনীয় আওয়ামী লীগ। এতে প্রায় প্রতি আসনেই আওয়ামী লীগেরই এক বা একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। কিন্তু অন্ধকারে শরিকরা। নিজেদের মতো মনোনয়নপত্র জমা দিলেও তাদের কতটি বা কোন কোন আসন ছাড়া হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। দফায় দফায় বৈঠক করে এ বিষয়ে তাগাদা দিলেও ফয়সালা আসেনি। ফলে বিষয়গুলো নিয়ে অসন্তুষ্টি রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের শরিকদের মধ্যে। তাদের প্রত্যাশা, যত দ্রুত সম্ভব সম্মানজনভাবে আসন সমঝোতা হোক। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কাছে গত নির্বাচনের চেয়ে দ্বিগুণ আসনে ছাড়ের দাবিও রেখেছে জোট শরিকরা। 

তবে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, শরিক ও জোট নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই আসনবিন্যাস চূড়ান্ত করা হবে। এক্ষেত্রে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে বলেও মনে করেন তারা। ফলে আসন সমঝোতা নিয়ে অপেক্ষা ফুরাচ্ছে না জোট শরিকদের। 

অপরদিকে এবারের নির্বাচনে নানা কারণে আলোচনার কেন্দ্রে থাকা তৃণমূল বিএনপি প্রকাশ্যে কোন জোটের বিষয় স্বীকার করছে না। দলটির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার বলছেন, তারা এককভাবেই সারা দেশে ৩০০ আসনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি শেষ করেছে। অপরদিকে, বিএনএম মহাসচিব ড. মোহাম্মদ শাহজাহান মনে করেন, ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনে কৌশল হিসেবে ডামি প্রার্থী কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে কাজ করছে। যা আসন্ন নির্বাচনে ভিন্ন কোন প্রভাব ফেলতে পারে। আর জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আওয়ামী লীগের চেয়ে এন্টি আওয়ামী লীগ ভোট বেশি। নির্বাচনে ভোটের পরিবেশ থাকলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে। #

পার্সটুডে/বাদশা রহমান/আশরাফুর রহমান/৭