বিজয় দিবসের পর নতুন কর্মসূচির পরিকল্পনা বিএনপি ও সমমনা জোটগুলোর
(last modified Thu, 14 Dec 2023 07:12:40 GMT )
ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩ ১৩:১২ Asia/Dhaka

ঘোষিত তফসিলের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে 'ডামি নির্বাচন' আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বিএনপি ও তাদের সমমনা শরিক জোটগুলো। তাদের একদফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন তারা। 

নির্বাচনী প্রচার ছাড়া সভা-সমাবেশসহ সব রাজনৈতিক কর্মসূচি আয়োজনের অনুমতি না দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চিঠি আমলে নিচ্ছে না নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলনে থাকা বিএনপি ও যুগপতের মিত্ররা। তারা বলছেন, এ চিঠি আমলে নেওয়ার কিছু নেই। তাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক দমনপীড়নের মধ্য দিয়ে সরকার একটা একতরফা নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এই ডামি নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার অধিকার জনগণের রয়েছে। জানা গেছে, বর্তমান বাস্তবতায় দেড় মাস ধরে চলা হরতাল-অবরোধের কর্মসূচিই অব্যাহত রাখবে বিএনপি। এর ফাঁকে ফাঁকে পেশাজীবী ও দলীয় ব্যানারেও নেতাকর্মীদের জমায়েতের কর্মসূচি দিতে পারে। এর মধ্য দিয়ে আন্দোলনকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে চায় তারা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, নির্বাচন নির্বিঘ্নে করতে ইসির এ চিঠির পর সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আরও কঠোর হবে। এর ফলে বিএনপি আগামীতে কর্মসূচি পালন করতে পারবে কি না, এটা নিয়ে তারা সন্দিহান। এরইমধ্যে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বুধবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বলেছেন, নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি ছাড়া অন্য কোনো কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা নেই। যে কোনো প্রোগ্রাম করতে গেলে, সভা-সমাবেশ করতে হলে সরকারের অনুমতি নিতে হয়। সেক্ষেত্রে সরকার যেখানে তাদের অনুমতি দেবে, তারা সেখানে করবে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর

তবে, বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, এধরনের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে অগণতান্ত্রিক। আর বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, এর মাধ্যমে প্রমাণ হচ্ছে দলীয় সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। তা না হলে মানুষের অধিকার হরন করতে পারে না নির্বাচন কমিশন।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেছেন, নিজেদের অবস্থানের নড়বড়তা টের পেয়ে সরকার জনবিরোধী নানা নিয়মকানুন বিধি চালুর অপচেষ্টা করছে।  আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোট গ্রহণ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার ব্যতীত সভা-সমাবেশসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি আয়োজনের অনুমতি না দিতে গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। ইসি বলছে, নির্বাচনী কাজ বাধাগ্রস্ত ও ভোটাররা ভোট প্রদানে নিরুৎসাহিত হতে পারে—এমন আশঙ্কায় এ সিদ্ধান্ত।#