ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪ ১৭:৫৩ Asia/Dhaka

রমজানকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন পণ্যে শুল্ক কমালেও তার কোনো প্রভাব পড়েনি বাজারে। আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে নিত্যপণ্য। সপ্তাহের ব্যবধানে সবজি ও আলুর দামে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও ভরা মৌসুমে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। এজন্য বরাবরের মতো সিন্ডিকেটকেই দায়ী করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। 

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে চাল, চিনি, ভোজ্যতেল ও খেজুরের ওপর থেকে আমদানি শুল্ক কমিয়েছে সরকার। আর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

তবে শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে শুল্ক কমানোর কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। রোজার এখনও এক মাস বাকি থাকলেও, এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে ইফতার সামগ্রীর দাম।

ব্যবসায়ীদের দাবি, শুল্ক কমানোর আগেই তারা পণ্য কিনেছেন, তাই বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। আর বাড়তি দামে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। গত সপ্তাহের তুলনায় আলুর দাম ৫ থেকে ১০ টাকা কমলেও, পেঁয়াজের বাড়তি দামে ক্ষোভ জানিয়েছেন ক্রেতারা। আর ব্যবসায়ীদের অজুহাত ভিন্ন। অন্যদিকে, সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে কমেছে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত।

তবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আগামী রমজানে কোন পণ্যের সংকট হবে না। সরকার বাজার দর নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। 

শুক্রবার সকালে, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশা করা হচ্ছে ভারতসহ অন্যান্য পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ রাখতে কাজ করা হবে।#

পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/আশরাফুর রহমান/১৬

ট্যাগ