মার্চ ১৭, ২০২৪ ১৯:১৬ Asia/Dhaka

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীরা দুর্বিষহ দিন পার করছেন বলে অভিযোগ করেছেন দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসীরা। তবে, এ অভিযোগ পুরোপুরি সঠিক নয় দাবি বায়রার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপনের। তিনি বলছেন, ট্যুরিস্ট এবং স্টুডেন্ট ভিসায় গিয়ে যারা কাজ করছেন তারাই মূলত সমস্যায় পড়ছেন।

চার বছর বিরতির পর ২০২২ সালের আগস্টে শ্রমবাজার পুনরায় চালু করার পর মালয়েশিয়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের দ্বিতীয় বৃহত্তম নিয়োগদাতা দেশে পরিণত হয়েছে। উৎপাদন, নির্মাণ, সেবা, বৃক্ষরোপণ, কৃষি, খনি এবং এমনকি গৃহস্থালী পরিষেবার মতো বিভিন্ন খাতে চার লাখ এক হাজার কর্মী নিয়োগ করেছে দেশটি।

তবে, মালয়েশিয়া নিজেদের শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার পর থেকে দেশটিতে যাওয়া অনেক কর্মী বেকারত্ব ও শোষণের মুখে পড়েছেন। এমনটাই অভিযোগ করেছেন দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশি আমির হোসেন। বিভিন্ন স্থানে কাজের অভাবে অনেকে অমানবিক জীবন যাপন করছেন বলেও অভিযোগ প্রবাসী সাংবাদিক আহমেদুল কবীরের। 

এজন্য সঠিকভাবে তথ্য যাচাইবাছাই না করে অ্যাপ্রুভাল দেয়ায় কর্মীদের এ সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন বায়রার যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম।

কিন্তু বায়রার সাবেক মহাসচিব ও মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির অঘোষিত নেতৃস্থানীয় জনশক্তি রপ্তানিকারক রুহুল আমিন স্বপন জানান, বেশিরভাগ কর্মী দেশটিতে ভালো আছেন।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের এমন দুরবস্থার জন্য কিছু অসাধু জনশক্তি রপ্তানিকারকদের দায়ী করেছেন ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম-এর সহযোগী পরিচালক শরিফুল ইসলাম। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে বিদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয়ে নিয়ম শিথিল ও পরিবর্তনের ফলে মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭ লাখ।#

পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/আশরাফুর রহমান/১৭

 

ট্যাগ