‘ইউনেসকোর সুপারিশ সত্ত্বেও রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ হবে না’
(last modified Sat, 24 Sep 2016 17:52:08 GMT )
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৬ ২৩:৫২ Asia/Dhaka
  • বাংলাদেশের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু
    বাংলাদেশের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, “ইউনেসকোর সুপারিশ সত্ত্বেও রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ করা হবে না। তবে ইউনেসকোর পর্যবেক্ষণ ও প্রশ্নের জবাব দেবে সরকার।”

আজ (শনিবার) ‘সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিবেশগত প্রভাব’-শীর্ষক এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, রামপাল  কয়লা  বিদ্যুৎ  কেন্দ্র  নিয়ে  বিতর্কের  কারণে  যেকোনো  প্রকল্পে  পরিবেশের  বিষয়টিকে  সর্বোচ্চ  অগ্রাধিকার  দেয়া  হচ্ছে।

জাতিসংঘের বিজ্ঞান, শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান-ইউনেসকো সম্প্রতি সুন্দরবনের পাশে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করার জন্য বাংলাদেশের কাছে সুপারিশ করেছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হলে তাতে সুন্দরবনের অপূরণীয় ক্ষতি হবে উল্লেখ করে প্রকল্পটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প চলবে। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্প বন্ধ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তিনি বলেন, ইউনেসকো তাদের প্রতিবেদনে যে পর্যবেক্ষণ ও প্রশ্ন উত্থাপন করেছে, সে ব্যাপারে জবাব তৈরি  করছে  সরকার। ডিসেম্বরের  মধ্যে  এ  উত্তর  দিতে  বলেছে, জাতিসংঘ।

নসরুল হামিদ বলেন, সরকার প্রতিটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিবেশগত প্রভাব যাচাই-বাছাই করে কীভাবে পরিবেশের ওপর তার প্রভাব কমানো যায় তা নিয়ে একটি সঠিক সমাধান খুঁজে বের করবে।

গত মার্চে বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া ইউনেসকোর তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। ওই দল সরকারকে দেয়া প্রতিবেদনে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ করে তা অন্য স্থানে সরিয়ে নিতে অনুরোধ জানায়। বাংলাদেশ সরকারের কাছে পাঠান এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্য, জলজ প্রানিসহ সামগ্রিকভাবে বনের ক্ষতি হতে পারে। 

প্রতিবেদনে তারা বলেছে, এখনই সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় তারা অন্তর্ভুক্ত করবে না। তবে রামপাল প্রকল্প বাতিলসহ ইউনেসকোর সুপারিশ মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। ২০১৭ সালের বিশ্ব ঐতিহ্য কমিশনের সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে তারা জানিয়েছে।#

পার্সটুডে/এআর/২৪

 

ট্যাগ