ইউনেস্কোর তালিকায় ৭ই মার্চের ভাষণ: তেহরানে আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা
(last modified Tue, 05 Dec 2017 10:42:38 GMT )
ডিসেম্বর ০৫, ২০১৭ ১৬:৪২ Asia/Dhaka
  • ইউনেস্কোর তালিকায় ৭ই মার্চের ভাষণ: তেহরানে আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা

ইউনেস্কোর 'বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য'র তালিকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তেহরানের বাংলাদেশ দূতাবাস আজ (মঙ্গলবার) এক আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।

দূতাবাস চত্বরে আনন্দ শোভাযাত্রা

আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত এ.কে.এম. মুজিবুর রহমান ভূঁঞা বলেন, "সংগ্রাম পরিচালনা, আমাদের বঞ্চনার ইতিহাস, অধিকার প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রামসহ প্রয়োজনীয় সব নির্দেশনাই ৭ই মার্চের ভাষণে রয়েছে"। তিনি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে "বাঙালি জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান" উল্লেখ করে তাঁকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। 

বক্তব্য রাখছেন  রাষ্ট্রদূত এ.কে.এম. মুজিবুর রহমান ভূঁঞা

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা এবং ৭ই মার্চের ভাষণের স্বীকৃতির জন্য গর্ববোধ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকাকালেই এসব সম্মান অর্জিত হয়েছে"।

সমাবেশে উপস্থিতির একাংশ

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার অভিনন্দন প্রস্তাব পাঠ-পূর্ব বক্তব্যে কমার্শিয়াল কাউন্সেলর মোহাম্মদ সবুর হোসেন বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণকে 'মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড' রেজিস্ট্রারের অন্তর্ভুক্ত করে ইউনেস্কো নিজেও সমৃদ্ধ হয়েছে।

দূতালয় প্রধান ও কাউন্সেলর মুহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের পরিচালনায় এ আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন দূতাবাস কর্মকর্তা আলম হোসেন, পিএইচডি গবেষক ডাক্তার শহিদুল ইসলাম শোভন এবং রেডিও তেহরানের সাংবাদিক গাজি আবদুর রশিদ।

৭ই মার্চের ভাষণের ভিডিও প্রদর্শনী

দূতাবাস প্রাঙ্গনে আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রায় রাষ্ট্রদূত, কাউন্সেলর এবং দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশী নাগরিকরা অংশ নেন। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ প্রদর্শনীর মধ্যদিয়ে আলোচনা সভা শেষ হয়েছে।#

পার্সটুডে/নাসির মাহমুদ/৫

 

 

ট্যাগ