রানা প্লাজা ধ্বংসের ছ’বছর: ভবন মালিকের দ্রুত শাস্তির দাবি
(last modified Wed, 24 Apr 2019 13:02:31 GMT )
এপ্রিল ২৪, ২০১৯ ১৯:০২ Asia/Dhaka

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ শিল্প-দূর্ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত রাজধানী ঢাকার সন্নিকটে পোশাক কারখানা ভবন রানা প্লাজা ধ্বংসের ছ’বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। ২০১৩ সালের এই দিনে (২৪ এপ্রিল) সাভারের এ বহুতল ভবনটি ধসে নিহত হন ১ হাজার ১৩৬ জন। জীবিত উদ্ধার হন ২ হাজার ৪শ' ৩৮ জনকে। অঙ্গহানিসহ গুরুতর আহত হন ১ হাজার ১শ' ৬৯ জন। আর আজও নিখোঁজ রয়েছেন ২০৬ জন।

রানা প্লাজা ধ্বসের ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের স্মরণ, নিখোঁজদের সন্ধান দাবী এবং  দোষী ভবন মালিকের ফাঁসির দাবীতে আজ নানা কর্মসূচি পালন করছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন।

সেদিনের দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে গতকাল সন্ধ্যায় দুর্ঘটনা স্থল এবং নিহতের কবরস্থান সাভারে ও  জুরাইনে মোমবাতি জ্বালানো হয়।এসময় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।

এদিকে, আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল)সকালে সাভারের রানা প্লাজা ধ্বসের স্থানে এবং জুরাইন কবরস্থানে সমবেত হন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এবং আহত শ্রমিক ও নিহত এবং নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনেরা। এসময় শ্রমিক নেতারা কারখানার কর্ম-পরিবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান। পাশাপাশি এ ঘটনায় দায়েরকরা মামলার বিচার দ্রুত শেষ ও রানা প্লাজার  মালিক সোহেল রানার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

এর আগে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলন করে বেসরকারী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনাল. বাংলাদেশ ( টিাইবি) বলেছে, রানাপ্লাজা ট্র্যাজেডির পরও, শ্রমিক অধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে না। ন্যায্য মজুরি দেয়া হচ্ছে না। রানাপ্লাজা দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের ৫১ শতাংশ এখনও বেকার বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

ওদিকে, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১২টায় জুরাইন কবরস্থানে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় নিহতদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিজিএমইএ'র নবনির্বাচিত সভাপতি ড. রুবানা হক। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিজিএমইএ'র নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রুবানা হক বলেন, বিদেশিদের পরামর্শে নয়, নিজেদের উদ্যোগেই পোশাক খাতের উন্নয়নে কাজ করা হবে।

বিজিএমইএর হিসাবে রানা প্লাজা ধসের পর নিরাপদ কর্মপরিবেশনা থাকার কারণে ১ হাজার ২৫০টি কারখানা বন্ধ হয়ে য়ায়। তবে ইতোমধ্যে নতুন করে উৎপাদনে এসেছে প্রায় সারে তিনশ’ কারখানা। যাদের উৎপাদন ক্ষমতা পুরনোগুলোর চেয়ে বেশি।

এদিকে, আজ সকালে জুরাইন কবরস্থানে নিহত শ্রমিকদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন শ্রমিকনেতা এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মন্টু ঘোষ।এসময়  তিনি বলেন, ‘রানা প্লাজা ধসের ছয় বছর পরও বিচারের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সরকার গড়িমসি করছে। এ ছয় বছরে রানা প্লাজা ধসে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আহত শ্রমিকদের চিকিৎসার নামে কাউকে কাউকে কোনো রকম চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এসব শ্রমিকের যে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা দরকার, সরকার সেদিকেও নজর দিচ্ছে না।#

পার্সটুডে/আব্দুর রহমান খান/বাবুল আখতার/২৪

 

 

ট্যাগ