বাংলাদেশের ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট: বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া
(last modified Sat, 15 Jun 2019 13:50:59 GMT )
জুন ১৫, ২০১৯ ১৯:৫০ Asia/Dhaka

বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নেতা গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন জনগণকে সচেতনভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারকে হঠাতে যা যা করার দরকার তা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

আজ সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে তার দল গণফোরাম আয়েজিত সংবাদ সম্মেলনে সদ্য ঘোষিত বাজেটকে প্রত্যাখ্যান করে ড. কামাল এ আহ্বান জানান।

এর আগে গতকাল বাজেট প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটি অনির্বাচিত সরকারের দেয়া এ বাজেটে ক্ষমতাসীনদের সাথে যুক্ত ধনী ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে। এতে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। তাই এ নিয়ে মানুষের মনে কোনো উচ্ছ্বাস নেই। এ প্রসঙ্গে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এ বাজেট হচ্ছে একটি লুটপাট-বান্ধব, এতে কৃষকদের কোনো স্বার্থ নেই। 

ওদিকে, উন্নয়ন অর্থনীতি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি’র ফেলো ড. দেবব্রত ভট্টাচার্য বলেছেন, এ বাজেটে বৈষম্য বৃদ্ধির যে সূযোগ দেয়া হয়েছে, তা দিয়ে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অর্জন করা সম্ভব হবে না। 

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষক এম এম আকাশ বলেছেন, বড় বড় প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা এবং দুর্নীতির কারণে ব্যয় তিন/চারগুণ বেড়ে যাচ্ছে। এতে যথাযথ উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে, গত এক দশকে ক্রমান্বয়ে বড় হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের পরিমাণ। সে হারে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাজেটের ঘাটতিও।

আয় ব্যয়ের হিসাব মেলাতে গিয়ে এ বছর  প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা ঘাটতির মুখে পড়বে সরকার। আর এ ঘাটতি টাকার বড় অংশ যোগাতে হাত পাততে হবে বিদেশিদের কাছে। এছাড়া, দেশীয় ব্যাংক থেকেও ঋণ নিতে হবে ৪৭ হাজার কোটির বেশি। জাতীয় পার্টির নেতা জিএম কাদের আশংকা প্রকাশ করে ঘাটতির পরিমাণ আরো বাড়তে  পারে। ফলে দেশীয় বিনিয়োগও টানাপড়েনের মধ্যে পড়বে।

এবারের প্রস্তাবিত ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেটে কৃষিখাতে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। টাকার অংকে ১৪ হাজার ৫৩ কোটি। আগের বছরের চেয়ে পরিমাণ বাড়লেও আনুপাতিক হারে তা কমেছে উল্লেখ করে কৃষিখাত নিয়ে হতাশার ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা।

কৃষক নেতারা বলছেন, বাজেটে কৃষি যন্ত্রপাতির ভর্তুকি কথা যা বলা হয়েছে তা আগে থেকেই রয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে সার, বীজ ও কীটনাশকের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। ফসলের দাম না থাকলে ঘোষিত বাজেটে যে কৃষি বীমার কথা বলা হয়েছে, কতটা কাজে আসবে তা নিয়ে তাদের সংশয় রয়েছে।#

পার্সটুডে/আব্দুর রহমান খান/বাবুল আখতার/আশরাফুর রহমান/১৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

 

ট্যাগ