সবার আগে যেন বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পায় সেটি নিশ্চিত করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
-
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন,বিশ্বের অনেক দেশে করোনা ভ্যাকসিনসমূহের সব গুণাগুণ বিচার বিশ্লেষণ করে বাজারজাতের প্রথম পর্যায়ে রয়েছে। এররকম ভ্যাকসিন সবার আগে যেন বাংলাদেশ পায় সেটি নিশ্চিত করাই হবে সরকারের মূল লক্ষ্য।
আজ সোমবার (১০ আগস্ট) সকালে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনা ভ্যাকসিন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনেযুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি জানান, ‘বিশ্বের ২০০টিরও বেশি কোম্পানি করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারে কাজ করে যাচ্ছে। এর মধ্যে ১৪১টি কোম্পানি প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ করছে এবং ২৫টি কোম্পানি এই ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষারত রয়েছে।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সবার আগে ভ্যাকসিন আনার ব্যাপারে করণীয় সম্পর্কে দ্রুত আপডেট তথ্য জানাতে সভায় উপস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশনা দেন।
ওদিকে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ৯০৭ জনের দেহে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হলেন ২ লাখ ৬০ হাজার ৫০৭ জন। এছাড়া, আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার ৪৩৮ জন।
সোমবার (১০ আগস্ট) দুপুরে করোনাভাইরাসের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৬৭ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৩৭ জন।

এর একদিন আগে রোববার (৯ আগস্ট) দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় আরও ২ হাজার ৪৮৭ জনের দেহে। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয় আরও ৩৪ জনের।
এদিকে সোমবার (১০ আগস্ট) সকাল ৯টায় করোনা নিয়ে আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৩৪ হাজার ১৩২ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৩১ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ২৯ লাখ ৪ হাজার ৫৬১ জন।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু লকডাউন শিথিল করে গণপরিবহন, কলকারখানা ও অফিস খুলে দেয়ার কারণে সংক্রমণ সামাজিক পর্যায়ে ছড়িয়েছে। এখন দেশের সবগুলেআ জেলাতেই এ রোগের প্রকোপ চলছে।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/বাবুল আখতার/৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।