বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে-ডা.জাফরুল্লাহ: চিকিৎসক প্রতিক্রিয়া
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i82570-বাংলাদেশের_স্বাস্থ্য_ব্যবস্থা_ভেঙে_পড়েছে_ডা.জাফরুল্লাহ_চিকিৎসক_প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সেদেশের গণমুখী চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাষ্টি ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
(last modified 2025-10-12T12:48:31+00:00 )
আগস্ট ২৬, ২০২০ ২১:৫৫ Asia/Dhaka

বাংলাদেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সেদেশের গণমুখী চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাষ্টি ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

আজ বুধবার ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে প্লাজমা ও ব্লাড ডোনেশন সেন্টারে সদ্য করোনা মুক্ত বিএনপি’র সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানের প্লাজমা দান  উপলক্ষ্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেছেন,‘দেশে প্লাজমা সংগ্রহ এখনো পর্যাপ্ত নয়। তাই প্রতিটি করোনা মুক্ত  মানুষকে প্লাজমা দানে এগিয়ে আসতে হবে। একজন মানুষের প্লাজমা দিয়ে পাঁচজন রোগীকে চিকিৎসা দেয়া যায়।’

এ সময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন,‘আমি চাই করোনা থেকে সুস্থ রুমিন ফারহানের মতো অন্য এমপিরাও প্লাজমা দানে এগিয়ে আসবেন। যারা করোনা আক্রান্ত নন তারাও নিয়মিত রক্তদানে এগিয়ে আসতে পারেন।’

বাংলাদেশের নাজুক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় জনগণের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির সংকট   এবং করোনা মোকাবেলায় সরকারের  একটা গা-ছাড়া ভাব  লক্ষ্য করছে ডক্টরস প্লাটফর্ম  ফর  পিপলস হেলথ। এ প্রসঙ্গে চিকিৎসকদের এ সংগঠনটির আহবায়ক প্রফেসর ডা. রশীদ-ই-মাহবুব রেডিও তেহরানকে বলেন,বাংলাদেশে সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য  সেবা পাওয়ার সুযোগ এখন সর্ব নিম্ন পর্যায় রয়েছে।  বিশেষ করে  করোনা পরিস্থিতে তা আরো  প্রকটভাবে সকলের  কাছে ধরা পড়েছে।

তিনি আরো বলেন,করেনা মোকাবেলায় প্রথম দিকে সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণ না করার কারণে ভাইরাস প্রতিরোধ করা যায় নি। এখন এটা দেশব্যাপী ছড়িয়ে যাবার পর সরকারের একরকম গা-ছাড়া  ভাব দেখে  জনগণও এটাকে মেনে নিয়েছে।  ফলে  দেশে করোনা সংক্রমণ  দীর্ঘদিন ধরে চলমান রয়েছে এবং  আরো চলবে।

সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা

এদিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্লাজমা দান উপলক্ষ্যে  সংসদ সদস্য রুমিন ফারহান বলেছেন,এই ভয়ঙ্কর মহামারির সময় সরকার আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি,তাই আমাদের সকলের উচিত নিজেদের পাশে দাঁড়ানো। আমি আশা করি করোনা থেকে সেরে ওঠা প্রতিটি মানুষ প্লাজমা দান করবেন।

তিনি বলেন,‘করোনার শুরু থেকেই আইসিইউ, ভেন্টিলেটর দূরে থাক সরকারি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত অক্সিজেনও নেই। প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে রোগীদের যদি আইসিইউ পর্যন্ত যেতে না হয় বা রেমডিসিভির মত দামি ওষুধ নিতে না হয়, তাহলে সেটাও অনেক বড় একটা প্রাপ্তি।’

গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে আজকের প্লাজমা দান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান,প্যাথলজি বিভাগের প্রধান গোলাম মোহাম্মদ  নগর হাসপাতালের পরিচালক  ও সনোলজিষ্টি মোহাম্মদ শওকত আলী আরমান প্রমুখ। #

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/গাজী আবদুর রশীদ/২৬