বাংলাদেশে করোনায় আরও ২২ জনের প্রাণহানি
(last modified Tue, 13 Oct 2020 10:54:31 GMT )
অক্টোবর ১৩, ২০২০ ১৬:৫৪ Asia/Dhaka
  • বাংলাদেশে করোনায় আরও ২২ জনের প্রাণহানি

করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ৫ হাজার ৫৭৭ জন কোভিড রোগী মারা গেলেন। এই সময়ে দেশে নতুন করে ১ হাজার ৫৩৭ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হলেন ৩ লাখ ৮১ হাজার ২৭৫ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৮২ জন রোগী এবং মোট সুস্থ ২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৭৩ জন।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৮১৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৫৩৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। মোট শনাক্ত ৩ লাখ ৮১ হাজার ২৭৫। এই সময়ে দেশে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ৫ হাজার ৫৭৭ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হলো। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৮২ জন এবং মোট সুস্থ ২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৭৩ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১০৯টি ল্যাবে ১৩ হাজার ৮১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২০ লাখ ৯৮ হাজার ৩৭টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ১৩ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ১৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৭ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) ও আইসিসিডিআরবি কর্তৃক  যৌথভাবে পরিচালিত এক জরীপে জানা গেছে, রাজধানীর ৪৫ শতাংশ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের ২৪ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি।

ইউএসএইডের সহায়তায় পরিচালিত ‘প্রিভিলেন্স, সেরোসার্ভিল্যান্স ও জেনোমিক ইপিডিমিওলজি অব কোভিড-১৯ ইন ঢাকা’ শীর্ষক ‌এ জরিপ প্রতিবেদটি গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে।  

প্রতিবেদনে  বলা হয়েছে, ঢাকা শহরের বস্তির প্রায় তিন-চতুর্থাংশ মানুষ ইতোমধ্যে সংক্রমিত হয়েছে। করোনার কোনো লক্ষণ ছিল না এমন ৪৫ শতাংশ নগরবাসী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে পরীক্ষায় ধরা পড়েছে।

এ প্রতিবেদন প্রকাশ ‌উপলক্ষ্যে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগন অভিমত দিয়েছেন, বর্তমানে দেশের মানুষের মধ্যে করোনার প্রতিরোধের প্রস্তুতির বিষয় শৈথিল্য দেখা যাচ্ছে। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কবে আসবে তা অনিশ্চিত। সুতরাং দেশে দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই।  মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই করোনাভাইরাস সংক্রমণমুক্ত থাকার সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।

গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।#

পার্সটুডে/বাবুল আখতার/আব্দুর রহমান খান/১৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।