মিয়ানমারকে ভারতের সামরিক সরঞ্জাম দেওয়া বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগজনক: জেএসডি
গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারাধীন মিয়ানমারকে ভারতের পক্ষ থেকে সাবমেরিনসহ সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
আজ (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মিয়ানমার প্রায়শই তার সামরিক শক্তি দিয়ে বাংলাদেশকে উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে। এ বাস্তবতা বিবেচনায় মিয়ানমারকে নতুন করে ভারতের অস্ত্র সরবরাহ কোনক্রমেই বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের সম্পর্কের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
আবদুর রব বলেন, ‘গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত এবং আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারাধীন মিয়ানমারকে ভারতের সাবমেরিনসহ সামরিক সরঞ্জাম দেওয়া বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতার প্রশ্নে গভীর উদ্বেগজনক। বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের সম্পর্ক এখন খুবই নাজুক পর্যায়ে। মিয়ানমার তার দেশের ১১ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে হত্যা-ধর্ষণ এবং অস্ত্রের মুখে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। এ মহাসংকটেও রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায়নি। ’
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার প্রায়শই বাংলাদেশের সীমান্তে সামরিক মহড়ার প্রদর্শন করে থাকে। কখনো সামরিক হেলিকপ্টারগুলো বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করার খবর প্রকাশ পাচ্ছে। কিছুদিন আগেও মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তে তার কয়েক হাজার সামরিক সেনা সমাবেশ করেছে। ’
আসম রব বলেন, সাম্প্রতিক কালে মিয়ানমারের উসকানিমূলক কার্যক্রম থেকে এটা প্রতীয়মান হয় যে, মিয়ানমার ভারতের এ সাবমেরিনসহ সামরিক সরঞ্জাম সুযোগ মত প্রতবেশী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। সুতরাং বাংলাদেশের উচিত নতজানু নীতি পরিহার করে অবিলম্বে সরকারি পর্যায়ে ‘রাখি বন্ধন’ যুক্ত সম্পর্কের দেশ ভারতের কাছে এ প্রশ্নে তীব্র প্রতিবাদ ব্যক্ত করা। ’
ভারতের সাথে সম্পর্ক 'আরো শক্তিশালী' করতে চায় বাংলাদেশ
এদিকে, সরকারর নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী-এর সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে বলেছেন, “মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা অব্যাহত রাখতে চাই। আরো শক্তিশালী করতে চাই এবং কাছাকাছি আসতে চাই।”
বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় হাই কমিশনারের সঙ্গে তিনি ‘পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় বিষয়াদি’ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাদের আলোচনায় পায়রা বন্দর, মোংলা বন্দর ও আশুগঞ্জ বন্দর সম্পর্কিত বিষয়গুলো এসেছে; এছাড়া সোনামুড়া নৌরুট এবং ইছামতী নদী খননের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/২২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।