করোনাভাইরাস: দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা এনজিও কার্যক্রমে স্থবিরতা এবং এস এস এস'র উঠে দাঁড়ানোর গল্প
বাংলাদেশের সমাজ উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী সাহায্য সংস্থা বা এনজিও সমূহ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করছে। দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে আত্মকর্ম সংস্থানের জন্য ঋণসহায়তা, স্বাস্থ্য সেবা, কৃষি উন্নয়ন, শিক্ষা কার্যক্রম ও সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিতে এ সকল বেসরকারি সংস্থা ব্যাপক অবদান রেখে চলছে।
সাম্প্রতিক করোনা অতিমারির কারণে বিশ্বব্যাপী নানমূখী প্রতিকূল প্রতিক্রিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের এনজিওদেরও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মোকাবেলা করতে হচ্ছে। দারুনভাবে ব্যহত হয়েছে তাদের ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচী। সরকারি নির্দেশে বন্ধ রাখতে হয়েছে শিক্ষাদান কর্মসূচী । নানা প্রকল্পের কার্যক্রম হয় গুটিয়ে ফেলতে হয়েছে না হয় পরিধি সীমিত করে আনতে হয়েছে।
এ প্রসংগে সোসাইটি ফর সোস্যাল সার্ভিস (এস এস এস)-এর প্রকল্প পরিচালক জনাব আবদুল লতিফ মিয়া রেডিও তেহরানকে জানান, করোনার কারণে সংস্থার ২০০ জন কর্মী আক্রান্ত হলেও তারা সবাই সুস্থ হয়েছে গেছেন। সুবিধাভোগিদের মধ্যে প্রায় ২৪০ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং অন্তত: ২৯ জন মৃত্যু বরণ করেছেন। তবে প্রায় তিনমাস তাদের সবরকম আয় বন্ধ ছিল। এটাই ছিল বড় ক্ষতি। এসময় তাদের ষ্টাফদের বেতন পরিশোধ করতে হয়েছে কাজ ছাড়াই ।
এ প্রসংগে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জনাব আবদুল হামিদ ভূঁইয়া রেডিও তেহরানকে জানান, এরকম একটা পরিস্থিতির জন্য তারা মানসিক বা আর্থিকভাবেও প্রস্তুত ছিলেন না। তবে আমাদের দৃঢ় মনোবল এবং কর্মীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে সংকট কাটিয়ে উঠতে পারছি। তিনি জানান ত্রিশ বছর আগে যাত্রা শুরু করে তাদের সংস্থাটি এখন আর দাতা নির্ভর নয়। সদস্যদের সঞ্চয় থেকে তারা তাদের আর্থিক সংস্থান করছেন। এ অবস্থায় সরকারের ঋণ কার্যক্রমের আওতায় তাদেরকে অধিক পরিমাণ সহায়তা দেওয়া হলে তারা আরো অধিক সংখ্যক দরিদ্রদের ভাগ্য উন্নয়নে ভূমিকা পালন করতে পারবেন।
এ প্রসংগে আবদুল হামিদ ভুঁইয়া আশার বাণী শুনিয়ে বলেন, দেশে এ মূহুর্তে বিনিয়োগের খাত সংকুচিত থাকার কারণে ব্যাংকগুলোর হাতে অনেক অলস পুঁজি পড়ে আছে । এ অবস্থায় কোন কোন ব্যাংক এসএসএস কে বড় অংকের ঋণ দিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এর ফলে দেশের আরো কিছু জেলায় তাদের কর্মসূচি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। বর্তমানে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্য ৩২ টি জেলায় সংস্থাটির কার্যক্রম বিস্তৃত রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে ২২০০ কোটি টাকা ব্যবহার করছে সংস্থার ঋণ গ্রহীতাগণ। এসএসএস পরিবারের সদস্য সংখ্যা বর্তমানে সাড়ে সাত লক্ষের অধিক।#
পার্সটুডে/ আব্দুর রহমান খান/ বাবুল আখতার/৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।