বাংলাদেশে করোনার ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ শনাক্ত: আরও ৪৫ জনের মৃত্যু
যেমনটি আশংকা করা হচ্ছিল সেটি সত্য প্রমাণ করে বাংলাদেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) শনাক্ত হয়েছে। আজ (শনিবার) রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট‘র (আইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম গণমাধ্যমকে বলেছেন, দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীরা ভারত থেকে ফিরেছেন। তারা চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন এবং বর্তমানে যশোরে অবস্থান করছেন।
এ ছাড়া, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি নমুনা পরীক্ষায় একটি ভারতীয় স্টেইন ধরা পড়েছে, যা জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটা (জিএসআইডি) তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।
করোনার ভারতীয় ধরনটি ‘বি.১.১৬৭’ নামে পরিচিত। ভারতে বর্তমানে করোনার সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে এ ধরনটি ভূমিকা রাখছে বলে স্বাস্থবিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন।
বিশ্বের অন্তত ২০টি দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের এ মারাত্মক ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত হয়েছে।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকান ধরণের অস্তিত্ব মেলে বাংলাদেশে। ঢাকার বনানীর ৫৮ বছর বয়সী এক নারীর শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় এই স্ট্রেইন পাওয়া যায় বলে নিশ্চিত করে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির গবেষক দল।
এছাড়া গত ৫ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসা ৬ জনের দেহে করোনাভাইরাসের আরেক নতুন ধরন পাওয়া যায় বলে আইইডিসিআর থেকে জানানো হয়। রূপান্তরিত এই নতুন ধরন গত ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হয়।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ভারত থেকে দেশে ফেরার পর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকাদের মধ্যে ৬০ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে ফিরেছেন। তবে তারা করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কি না সেটি জানতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ড. রুবেদ আমিন বৃহস্পতিবার (৬ মে) স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানিয়েছেন, ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্টসহ অন্যান্য দেশের ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে বেনাপোল থেকে আসা ১ হাজার ২৫২ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে, এর মধ্যে ৬০ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে এসেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে দেশে আসা ৪৭ জনকেও আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আকাশপথে ১৯ মে থেকে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ৮০০ জন এসেছেন। তাদের মধ্যে ৭ হাজার ৫১৪ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
দেশে আরও ৪৫ জনের মৃত্যু
এদিকে, দেশে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মৃত্যুর এ সংখ্যা গত চার সপগতাহের মধ্যে সর্নিম্ন। নিয়ে দেশে মৃত্যুর মোট সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েচক্সহে ১১ হাজার ৮৭৮।
এ ছাড়া একই সময়ে আক্রান্ত রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ২৮৫ রোগী। আজ (শনিবার) স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন