একটা ঈদে নিজের ঘরে থাকতে ক্ষতি কী: শেখ হাসিনা
করোনার ভারতীয় ধরন আরও ভয়ংকর উল্লেখ করে সবাইকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আজ (রোববার) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে পূর্বাচল প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্লট বরাদ্দপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ঝুঁকি নিয়ে ঈদে বাড়ি ফিরছেন তারা গ্রামে থাকা স্বজনদের মৃত্যুঝুঁকিতে ফেলতে যাচ্ছেন। জানি ঈদের সময় মানুষ পাগল হয়ে গ্রামে ছুটছেন, এই যে, আপনারা একসঙ্গে বাড়ি যাচ্ছেন, চলার পথে- ফেরিতে হোক বা গাড়িতে হোক, আর লঞ্চে হোক কার যে করোনাভাইরাস আছে আপনি জানেন না। সুতরাং আপনি সেটা বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আপনার পরিবারের কাছে। মা-বাবা, দাদা-দাদি ও ভাইবোন যারাই থাকুক বাড়িতে আপনি কিন্তু তাদের সংক্রমিত করবেন। তাদের জীবনটাও মৃত্যুঝুঁকিতে ফেলে দেবেন আপনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা ঈদে নিজের ঘরে থাকতে কী ক্ষতিটা হয়? কাজেই ছোটাছুটি না করে যে যেখানে আছেন, সেখানে থাকেন। সেখানেই নিজের মতো করে ঈদটা উদযাপন করেন। আমাদের প্রতিবেশী দেশে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। কাজেই আগে থেকে আমাদের সুরক্ষিত থাকতে হবে। আমাদের সেভাবেই চলতে হবে যেন আমরা সবাই করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হয়ে বেঁচে থাকতে পারি।
এদিকে, করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত সম্মুখ সারির যোদ্ধা চিকিৎসকগণ আশঙ্কা করছেন, এই যে গিজগিজ করা মার্কেটে ঈদের বাজার করা বা ঠাসাঠাসি করে ফেরিতে বা ট্রাকে চড়ে বাড়িমুখো হওয়া- এর ফলে হয়তো দু’সপ্তাহ পর দেখা যাবে সংক্রমণের আর একটা ঢেউ। বা ভারতের মত অবস্থা। তখন হাসপাতালে রোগী সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে যাবে।
এর আগে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের করোনার ভ্য়াবহতা উল্লেখ করে বলেছেন, ভারত থেকে বিপজ্জনক বার্তা পাচ্ছে বাংলাদেশ। করোনা মহামারিতে ভারতের ফুটপাতও এখন ‘শ্মশানঘাটে’ পরিণত হয়েছে ভারত এখন করোনার তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড।
আজ (রোববার) দুপুরে রাজধানীর আইডিইবি ভবনে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ আয়োজিত ‘মুজিব বর্ষ ও কোভিড-১৯ মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছে করোনাভাইরাসের ভয়ংকর ভারতীয় ধরন। এ অবস্থায় সামান্যতম উদাসীনতা বিপজ্জনক ভবিষ্যতেরই পূর্বাভাস।
এর আগে, গত রাতে নিজ বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগে জীবন, পরে জীবিকা-এই মুহূর্তে বেঁচে থাকাটাই জরুরি। বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে অনেক আনন্দ উৎসব করা যাবে, কাজেই এবার অন্তত সকলে মিলে ত্যাগ স্বীকার করি।
ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। শপিং মল ও মার্কেটগুলোতেও একই অবস্থা। এধরনের পরিস্থিতি গত ক’দিনে করোনা সংক্রমণ হারের যে নিম্নমুখী প্রবণতা সেটাকে আবারো বাড়িয়ে দিতে পারে।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।