বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের কোনো তথ্য অর্থমন্ত্রীর কাছে নেই: বিশ্লেষক প্রতিক্রিয়া
(last modified Mon, 07 Jun 2021 11:17:26 GMT )
জুন ০৭, ২০২১ ১৭:১৭ Asia/Dhaka

বাংলাদেশ থেকে কারা বিদেশে অর্থ পাচার করছে সে সংক্রান্ত কোনো তথ্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে নেই। বিরোধী দল বা কারো কাছে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য থাকলে তা জানাতে অনুরোধ করেছেন তিনি। আজ সোমবার (০৭ জুন) সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় বিরোধীদলীয় সদস্যরা অর্থ পাচারের প্রসঙ্গ তুললে আ হ ম মুস্তফা কামাল এমন জবাব দেন ।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, কারা টাকা নিয়ে যায় সেই লিস্ট আমার কাছে নেই। আপনাদের কাছে লিস্ট থাকলে আমাকে নামগুলো দেন।  বাকি কাজটি করা আমাদের জন্য সহজ হবে।এর আগে  বাগেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, গ্লোবাল ফাইন্যান্স ইন্টিগ্রিটির তথ্যানুযায়ী প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে গড়ে প্রায় ১ লক্ষ কোটি বিদেশে চলে যাচ্ছে। গত ১০বছরে প্রায় সাড়ে ৮ থেকে ৯ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে চলে গেছে। ওভার আর আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে যাচ্ছে। এর বাইরে হুন্ডির পরিমাণ ধরলে আল্লাহ মাবুদ জানেন কত টাকা বিদেশে গেছে!

রুমিন ফারহানা বলেন, একবার সংসদে ঋণ খেলাপির তালিকা প্রকাশ করা হলো। তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সেটা এখনও জানতে পারলাম না।ব্যাংকে যে টাকা থাকে সেটা আমাদের মত আমজনতার টাকা। সেই টাকা এক ব্যাংকের পরিচালকের সঙ্গে আরেক ব্যাংকের পরিচালকদের ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে ঋণ নেয়। ঋণ নেওয়ার সময় তারা জানে এই ঋণ তারা আর পরিশোধ করবে না।এই টাকা চলে যায় বিদেশে।এ সময় জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, এক ব্যাংকের পরিচালক আরেক ব্যাংকের টাকা নিচ্ছে। টাকা নিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশ পাঠাচ্ছে। কানাডায়, মালয়েশিয়ায়, অস্ট্রেলিয়ায় দুদকের অফিস করুন।  তাহলে দেখা যাবে কে কত টাকা নিয়েছে।  পিকে হালদার এত টাকা নিইয়ে পালালো তাকে  ধরতে পারেনি।

সোমবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা ও  জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জি এম কাদের বলেছেন, যারা পুকুরচুরি করছেন, তারা পার পেয়ে  যাচ্ছেন। আর যারা এসব প্রকাশ করছেন, তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

জিএম কাদের বলেন, কিছুদিন আগে একজন নারীকে সরকারি দপ্তরে আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়েছে। গলা টিপে ধরা হয়েছে। তার নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। ভয় দেখান হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে আরো মামলা হতে পারে। বিরাট  শাস্তি হতে পারে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা চাই আইনের শাসন থাকুক। কেউ অপরাধ করলে শাস্তি হোক। কিন্তু যারা গণমাধ্যমে কাজ করেন, তাদের কিছু দায়িত্ব থাকে। সাংবাদিকতা পিলার অব দ্য স্টেট। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা জবাবদিহি নিশ্চিত করতে কাজ করে। সেখানে সাংবাদিকদের দায়িত্বপালনে এইটুকু সুযোগ দেওয়া সমাজের দায়িত্ব।

সংসদ সদস্যদের এসব বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের কষ্টে অর্জিত টাকা বিদেশে চলে যাবে, আপনাদের যেমনখারাপ  লাগে, আমারও লাগে। আমি অনিয়ম, বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে। আগে সিমেন্টের নাম করে বালি আসত। আন্ডারইনভয়েসিং, ওভারইনভয়েসিং আগের মতো হয় না। একদম বন্ধ হয়ে গেছে বলব না।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/বাবুল আখতার /৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। 

 

ট্যাগ