গবেষণা এবং কৃষিভিত্তিক শিল্প সম্প্রসারনে ৩২ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান পেল বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার: বিশ্লেষক প্রতিক্রিয়া
(last modified Sun, 27 Jun 2021 10:01:57 GMT )
জুন ২৭, ২০২১ ১৬:০১ Asia/Dhaka

বাংলাদেশে  কৃষি গবেষণা , কৃষি  প্রযুক্তি উদ্ভাবন, এবং কৃষিভিত্তিক শিল্প  সম্প্রসারনে  বিশেষ অবদানের জন্য এ বছর  ২৭ জন  উদ্যোক্তা  ব্যক্তি ও  পাঁচটি  প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার দেয়া হয়।  এ সময় ২০০৮ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে কৃষির উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি'র কথাই ছিল খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন হওয়া ভালো না। কেন? বিদেশ থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ সারাজীবন বাংলাদেশ অন্যের কাছে হাত পেতে চলবে, ভিক্ষা করে চলবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটা কথা বলতেন, ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা ভিক্ষুক হবো না। আমাদের মাটি আছে, মানুষ আছে। আমরা ফসল ফলাবো। নিজের পায়ে দাঁড়াবো, নিজের খাবার নিজে জোগাড় করবো। আমাদেরও সেই নীতি। ওদের নীতি ছিল কিছুটা ভিন্ন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ব্যাপক বরাদ্দ দিচ্ছি। এখন তো করোনা ভাইরাসের যুগ। মাত্র ১০ টাকায় একজন কৃষক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। সেই সাথে কৃষি উপকরণের যে টাকা সেটা তাদের কাছে সরাসরি যাতে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যায় সেই ব্যবস্থাটাও আমরা করেছি। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার কৃষকদের সব থেকে বেশি মর্যাদা দেয়। শুধু তাই না আমরা বর্গাচাষীদের বঞ্চিত করিনি। বিনা জামানতে বর্গাচাষীদের আমরা ঋণ দেওয়া শুরু করি। তার উদ্দেশ্য ছিল তারা যেন সর্বশক্তি নিয়োগ করতে পারে উৎপাদনে। আমাদের পুরস্কার বিজয়ীদের সনদপত্র, সংশ্লিষ্ট পদক ও নগদ টাকা দেওয়া হয়। স্বর্ণপদক প্রাপ্তদের ১ লাখ টাকা, রৌপ্যপদক প্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা ও ব্রোঞ্জপদক প্রাপ্তদের ২৫ হাজার টাকা নগদ দেওয়া হয়। আজ রোববার (২৭ জুন) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে  এক অনুষ্ঠানে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেন।। এ সময় গণভবন থেকে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বর্ণপদক প্রপ্তদের মধ্যে রয়েছেন, কৃষি গবেষণায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) ফার্ম মেশিনারি অ্যান্ড পোস্টহার্ভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ, কৃষি সম্প্রসারণে ঢাকার এম আনিস উদ-দৌলা ও উপজেলা কৃষি অফিসার তালহা জুবাইর মাসরুর, কৃষিতে নারী হিসেবে ঢাকার নবাবগঞ্জের মায়া রাণী বাউল ও বাণিজ্যিক খামারি নারায়ণগঞ্জের এম এম শাহজাহান সিরাজ। এ সময় করোনা মোকাবেলায় ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। 

তিনি  বলেন, বিভিন্ন চরাঞ্চল‑­­ বিশেষ করে শীতের সময় চরাঞ্চলের মাটি গবেষণা করে আমাদের গবেষকরা সেটা আবিষ্কার করেছেন। সেখানে নানা ধরণের ফসল উৎপাদন হচ্ছে। যে সমস্ত এলাকায় এক সময় কোনও ফসলে হতো না এখন সেই সমস্ত এলাকায় নানা ধরণের ফসল উৎপাদন হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর পতিত জমি আমরা চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। 

তিনি বলেন, আমাদের যে উন্নয়ন তাতে আমরা যথেষ্ট এগিয়ে যাচ্ছিলাম কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো এই করোনা আসার পর বাংলাদেশ শুধু নয় বিশ্বব্যাপী একটা স্থবিরতা এসে গেছে। যেটা সব থেকে দুঃখজনক। আমাদের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশের জন্য সব থেকে কষ্টকর। আমরা ইতোমধ্যেই করোনাকালীন সময়ে সাধারণ মানুষ যেন কষ্ট না পায় তার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছি।  সরকার প্রধান বলেন, যেহেতু করোনায় আবার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ব্যাপক হারে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে গেছে। কাজেই সবাই একটু সাবধানে থাকবেন। নিজেকে নিরাপদে রাখবেন, নিজের পরিবারকে নিরাপদে রাখবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটা কথা বলতেন, ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা ভিক্ষুক হবো না। আমাদের মাটি আছে, মানুষ আছে। আমরা ফসল ফলাবো। নিজের পায়ে দাঁড়াবো, নিজের খাবার নিজে জোগাড় করবো। আমাদেরও সেই নীতি। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ব্যাপক বরাদ্দ দিচ্ছি। এখন তো করোনা ভাইরাসের যুগ। মাত্র ১০ টাকায় একজন কৃষক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। সেই সাথে কৃষি উপকরণের যে টাকা সেটা তাদের কাছে সরাসরি যাতে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যায় সেই ব্যবস্থাটাও আমরা করেছি।  তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার কৃষকদের সব থেকে বেশি মর্যাদা দেয়। শুধু তাই না আমরা বর্গাচাষীদের বঞ্চিত করিনি। বিনা জামানতে বর্গাচাষীদের আমরা ঋণ দেওয়া শুরু করি। তার উদ্দেশ্য ছিল তারা যেন সর্বশক্তি নিয়োগ করতে পারে উৎপাদনে। আমাদের মাটি এত উর্বর যে একটু গবেষণা করলে যে কোনও ফসল উৎপাদন করা যায়।  সেটা আমার বিশেষভাবে অনুরোধ। এই অবস্থা আমরা মোকাবিলা করতে পারবো। সে বিশ্বাস আমাদের আছে; কিন্তু এক্ষেত্রে আপনাদের সকলের সহযোগিতা আমরা চাই। #

পার্সটুডে/ আব্দুর রহমান খান/ বাবুল আখতার/২৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

 

ট্যাগ