কক্সবাজারে আটক ব্যক্তিই কুমিল্লার ইকবাল: পুলিশ সুপার
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i98970-কক্সবাজারে_আটক_ব্যক্তিই_কুমিল্লার_ইকবাল_পুলিশ_সুপার
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে আটক ব্যক্তিই কুমিল্লার ইকবাল হোসেন বলে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক আহমেদ।
(last modified 2025-10-12T12:48:31+00:00 )
অক্টোবর ২২, ২০২১ ১২:০৩ Asia/Dhaka
  • (বামে)  ইকবাল হোসেন (ডানে) কুমিল্লার এসপি ফারুক আহমেদ।
    (বামে) ইকবাল হোসেন (ডানে) কুমিল্লার এসপি ফারুক আহমেদ।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে আটক ব্যক্তিই কুমিল্লার ইকবাল হোসেন বলে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক আহমেদ।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সমুদ্রসৈকত এলাকায় ঘোরাফেরা করার সময় ইকবাল হোসেনকে জেলা পুলিশের একটি দল আটক করে। পরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাকে নিতে ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি টিম কক্সবাজারে আসে। ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ইকবালকে কুমিল্লা জেলা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপরই কুমিল্লা জেলা পুলিশের ওই টিম ইকবালকে নিয়ে রওনা দেয়।  ইকবালের বিষয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে জানাবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।

এদিকে, কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক আহমেদ আজ সকালে জানিয়েছেন, ইকবালকে কক্সবাজার থেকে কুমিল্লায় আনা হয়েছে। তাঁরা এ বিষয়ে নিশ্চিত যে, কক্সবাজারে আটক হওয়া ব্যক্তিই কুমিল্লার ইকবাল। তাঁকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হলে তাঁর কাছ থেকে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পুলিশের দাবি- কুমিল্লার নানুয়া দীঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআন রেখেছিলেন শহরের দ্বিতীয় মুরাদপুরের লস্করপুকুরপাড়ের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন। পূজামণ্ডপের আশপাশের বিভিন্ন বাসা-প্রতিষ্ঠান ও শহরের কয়েকটি এলাকার ক্লোজড সার্কিট টিভি (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তা নিশ্চিত হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ইকবাল একজন ‘ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত’- এমন তথ্য দিয়েছে পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা।

গত ১৩ অক্টোবর দুর্গাপূজার অষ্টমীর দিনে ভোরে নানুয়া দীঘির পাড়ে দর্পন সংঘের পূজামণ্ডপে হনুমানের মূর্তির কোলে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন রাখা দেখে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। এরপরই দেশের কয়েক স্থানে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার জেরে ওই দিন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পাঁচ জন নিহত হন। পরদিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মন্দির, মণ্ডপ ও দোকানপাটে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়। সেখানে হামলায় দুই জন নিহত হন। এরপর রংপুরের পীরগঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বসতিতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এরইমধ্যে শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পূজামণ্ডপে কুরআন রাখা ইকবালকেও চিহ্নিত করে।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।