হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়
'হাজতবাস মোট সাজা থেকে বাদ দিয়ে সাজার মেয়াদ হিসাব করা হবে'
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত আজ এক ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করে জানিয়েছেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি যেদিন গ্রেপ্তার হয়েছে সেদিন থেকে সাজার রায় ঘোষণার আগ পর্যন্ত যতদিন বিচারাধীন অবস্থায় হাজতবাস করেছে, তা মোট সাজা থেকে বাদ দিয়ে সাজার মেয়াদ হিসাব করা হবে।
আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এখন থেকে প্রতিটি মামলার ক্ষেত্রে এ নির্দেশ প্রযোজ্য বলে মতামত দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ বলেন, ইউনুছ আলী নামে এক আসামিকে নিম্ন আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। পরে হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
ইউনুছ আলীর আইনজীবী আপিল বিভাগকে জানান, এরই মধ্যে ইউনুছ আলী বিচারাধীন অবস্থায় ২৬ বছর হাজত বাস করেছে।বাংলাদেশের প্রচলিত ফৌজদারি দণ্ডবিধির (সিআরপিসি) ৩৫ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, বিচারকালীন আসামি যতদিন হাজতবাস করবে, হাজতবাসের এ সময় মূল সাজা থেকে বাদ যাবে। তবে এটা বিচারকের মর্জির ওপর নির্ভর করতো। সম্প্রতি উচ্চ আদালতে এক রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ৩৫ (ক) ধারার সুযোগটা সব আসামি পাবেন। আপিল বিভাগের আজকের রায়ে আসামি ইউনুছ আলী হাজতকালীন ও কারাদণ্ড ভোগের সময় যোগ করে যদি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ শেষ হয়ে যায়, তাহলে তাকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/বাবুল আখতার/১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।