অর্থ আত্মসাত মামলায় বিচার শুরু: ড. ইউনূস বললেন- আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে
https://parstoday.ir/bn/news/event-i138548-অর্থ_আত্মসাত_মামলায়_বিচার_শুরু_ড._ইউনূস_বললেন_আমাকে_হয়রানি_করা_হচ্ছে
বাংলাদেশের নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের সংরক্ষিত তহবিলের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।
(last modified 2025-11-28T10:09:50+00:00 )
জুন ১২, ২০২৪ ১৪:৪০ Asia/Dhaka
  • ড. মুহাম্মদ ইউনূস
    ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বাংলাদেশের নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের সংরক্ষিত তহবিলের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।

আজ (বুধবার) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এ আদেশ দেন। এর মধ্য দিয়ে অলোচিত মামলাটির বিচারকাজ শুরু হলো।

আদালত থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, "আদালতে শুনানি চলাকালে একজন নিরপরাধ নাগরিকের একটা লোহার খাঁচার ভেতরে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার বিষয়টি অত্যন্ত অপমানজনক। অত্যন্ত গর্হিত কাজ বলে মনে হয়েছে। আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।"

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, "অনেক হয়রানির মধ্যে আছি। সেটারই অংশ, এটা চলতে থাকবে। আজকে সারাক্ষণ খাঁচার মধ্যে ছিলাম আমরা সবাই মিলে। যদিও আমাকে বলা হয়েছিল যে, আপনি থাকেন। আমি বললাম, সবাই যাচ্ছে, আমিও সঙ্গে থাকি। সারাক্ষণই খাঁচার ভেতরে ছিলাম। আমি আগেও প্রশ্নটা তুলেছি, আবারও সবার জন্য তুলছি। এটা কি ন্যায্য হলো নাকি? আমার বিষয় না, যেকোনো আসামি; যার বিরুদ্ধে এটা করতে যাচ্ছে, তাকে খাঁচায় নিয়ে যাওয়া। আমি যতটুকু জানি, যত দিন আসামি অপরাধী প্রমাণিত না হচ্ছে, ততদিন তিনি নির্দোষ-নিরপরাধ।"

 

আজ (বুধবার) দুপুর ১১ টা ৫মিনিটে আদালতে প্রবেশ করেন ড.  ইউনূস। হাজিরা নেয়ার জন্য বিচারক ড. ইউনূস ও পারভীন মাহমুদ ছাড়া সবাইকে ডকে (লোহার খাঁচায়) প্রবেশ করতে বলেন। আদালতের নির্দেশে ১২ আসামি ডকে প্রবেশ করেন। তাদের সঙ্গে ড. ইউনূসও ১১টা ৪৭ মিনিটে লোহার খাঁচায় প্রবেশ করেন। লোহার খাঁচায় দাঁড়িয়েই চার্জ গঠনের আদেশ শুনেন তিনি। আদেশ শেষে ১২টা ৩ মিনিটের দিকে লোহার খাঁচা থেকে বের হয়ে আসেন ড. ইউনূসসহ সব আসামি।

 

এরপর আদালত দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজলকে আসামিদের অভিযোগ পাঠ করে শুনাতে বলেন। পিপি আসামিদের বলেন, আপনাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। আপনারা দোষী না নির্দোষ? এসময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা ড. ইউনূস নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তার সঙ্গে অপর ১৩ আসামিও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন এবং তাকে সহযোগিতা করেন এডভোকেট খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান।

গত ১লা ফেব্রুয়ারি এই মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। জানা যায়, দণ্ডবিধি ও মানি লন্ডারিং আইনে ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে স্থানান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দেয়া হয়েছে।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।