পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের ৫ জেলা নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের দাবি বিজেপি এমপি'র
https://parstoday.ir/bn/news/event-i139940-পশ্চিমবঙ্গ_ও_বিহারের_৫_জেলা_নিয়ে_কেন্দ্রশাসিত_অঞ্চল_গঠনের_দাবি_বিজেপি_এমপি'র
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ পাঁচটি জেলা নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের দাবি তুলেছেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তার দাবি, "মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে বিশাল পরিমাণে অনুপ্রবেশ হচ্ছে। তার জেরে ওই এলাকার জনবিন্যাসে বড়সড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ফলে হিন্দু ধর্মের অস্তিত্ব সংকট দেখা দিচ্ছে।" 
(last modified 2025-09-26T18:07:30+00:00 )
জুলাই ২৫, ২০২৪ ১৯:৩১ Asia/Dhaka
  • নিশিকান্ত দুবে
    নিশিকান্ত দুবে

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ পাঁচটি জেলা নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের দাবি তুলেছেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তার দাবি, "মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে বিশাল পরিমাণে অনুপ্রবেশ হচ্ছে। তার জেরে ওই এলাকার জনবিন্যাসে বড়সড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ফলে হিন্দু ধর্মের অস্তিত্ব সংকট দেখা দিচ্ছে।" 

পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের জেলাগুলো ভাগ করা নিয়ে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন সুকান্ত মজুমদার। বৈঠক শেষে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের স্বার্থে উত্তরবঙ্গের আট জেলাকে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি করেছি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে।

তাঁর দাবি, বাংলার উন্নয়নের স্বার্থেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই দাবি রেখেছেন তিনি। নিজের বক্তব্যের সমর্থনে বঙ্গ বিজেপির সব সাংসদকে প্রধানমন্ত্রীর সামনে হাজির করতে পারেন বলেও দাবি করেন। তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময়ও চেয়েছেন। এই মন্তব্যের পরদিন লোকসভায় সরাসরি বাংলা ভাগের দাবি তোলেন নিশিকান্ত দুবে

তিনি বলেন, "মালদা ও মুর্শিদাবাদ থেকে এসে আমাদের এখানে এসে হিন্দুদের উপর অত্য়াচার চালাচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের পুলিশ কোনও কাজ করতে পারছে না। মুসলিমদের সংখ্য়া বাড়ছে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করুন। এনআরসি লাগু করুন ওই এলাকায়। কিছু না হলেও সংসদীয় কমিটি পাঠান।" 

নিশিকান্ত দুবে বলেন,  জনবিন্যাসের ভারসাম্য বজায় রাখার কারণ দেখিয়ে বাংলার মালদহ, মুর্শিদাবাদ জেলাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে বিহারের কিষাণগঞ্জ, অরারিয়া এবং কাটিহার জেলাকেও ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অন্তর্গত করা হোক।

তিনি দাবি করেন, তাঁর রাজ্য ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী জনসংখ্যা ১০ শতাংশ কমে গেছে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে আদিবাসী মহিলাদের বিবাহের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন নিশিকান্ত।

কিছুদিন আগে ঝাড়খণ্ডে গিয়ে অসমের মুখ্য়মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছিলেন "আমাদের অসমে মুসলিমদের সংখ্যা ৪০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। এটা রাজনৈতিক অবস্থা নয়। এটা বাঁচা মরার ব্যাপার।"

পার্সটুডে/এমএআর/২৫