আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণের পর হত্যা: ভারতজুড়ে চলছে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
(last modified Sat, 17 Aug 2024 13:30:10 GMT )
আগস্ট ১৭, ২০২৪ ১৯:৩০ Asia/Dhaka
  • আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণের পর হত্যা: ভারতজুড়ে চলছে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতালে চিকিৎসকদের আন্দোলন ও ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি চলছে।

আজ (শনিবার) সকাল থেকে দেশের সব হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে ভারতের চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ সংস্থা ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। সকাল থেকে কলকাতাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চলছে কর্মবিরতি।

চিকিৎসকেরা দাবি তুলেছেন, নারী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেফকার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।  

নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় আন্দোলনকারীরা কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ও আরজি কর হাসপাতালের সদ্য পদত্যাগী অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের শাস্তি দাবি করেছেন।

আরজি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার পেছনে অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সিবিআই তাঁকে জেরা করতে গতকাল শুক্রবার তলব করেছিল। আরজি করের পদত্যাগী অধ্যক্ষ দ্বিতীয় দফায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই অফিসে হাজিরা দেন এবং ঘটনার অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের গতিবিধি যাচাই করছেন তদন্তকারীরা।

নিহত চিকিৎসকের দেহের ময়না তদন্তে চরম যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু এ ঘটনাকে কর্তৃপক্ষ প্রথমে ‘আত্মহত্যা’ বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছিল। কিন্তু তার সহকর্মী এবং বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকসহ সাধারণ মানুষ নির্যাতিতার ক্ষতবিক্ষত শরীর দেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

নিহত চিকিৎসক গত ৮ আগস্ট টানা ৩৬ ঘণ্টার ডিউটিতে ছিলেন, রাতে সহকর্মীদের সঙ্গে খাবার খেয়ে তিনি পালমোনোলজি বিভাগের সেমিনার হলে বিশ্রাম নিতে যান। পরদিন সকালে তার জুনিয়র সহকর্মীরা ওই হলের ভেতরেই তার অর্ধনগ্ন মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ওই তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ তাদের প্রথমে জানিয়েছিল তাদের মেয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছে। পরে অবশ্য তীব্র ক্ষোভের মুখে পুলিশ এই ঘটনায় খুন ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে।

আরজি করের চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় তার সহকর্মীরাও জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ নিহত চিকিৎসকের বাবা-মায়ের। হাসপাতালের বেশ কয়েক জন চিকিৎসক এবং ইন্টার্নের নামও তারা সিবিআইকে জানিয়েছেন।

পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আরজি করে নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়েছেন, সঞ্জয় নামে একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও তাদের মেয়ের ধর্ষণ এবং খুনের সঙ্গে মাত্র একজন জড়িত বলে তারা মানতে নারাজ। বরং তারা মনে করেন, এই ঘটনার সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি যুক্ত রয়েছেন। পুরো ঘটনাতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জড়িত বলে তাদের বিশ্বাস।#

পার্সটুডে/এমএআর/১৭