আমরা গাজায় চলমান যুদ্ধাপরাধের অংশীদার হতে চাই না: মন্ত্রী
ইসরাইলের জন্য অস্ত্রবাহী জাহাজকে নোঙ্গর করার অনুমতি দেয়নি নামিবিয়া
ইহুদিবাদী ইসরাইলের জন্য অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ-ভর্তি একটি জাহাজকে নিজ উপকূলে নোঙ্গর করতে দিতে অস্বীকার করেছে আফ্রিকার দেশ নামিবিয়া। গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যায় এসব গোলাবারুদ ব্যবহৃত হতে পারে বলে আশঙ্কা থাকায় নামিবিয়া এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা গেছে।
গত সোমবার পর্তুগিজ পতাকাবাহী জাহাজ এমভি ক্যাথরিন দক্ষিণ আটলান্টিক উপকূলে অবস্থিত নামিবিয়ার ‘ওয়ালভিজ বে’ বন্দরে নোঙ্গর করার অনুমতি প্রার্থনা করে। কিন্তু নামিবিয়া কর্তৃপক্ষ জাহাজটিকে সেদেশের পানিসীমায় প্রবেশ করার অনুমতি দেয়নি।
নামিবিয়ার বিচারমন্ত্রী ওয়াইভোন দাউসাব এ সম্পর্কে বলেছেন, তাৎক্ষণিক পুলিশি তদন্তে তারা জানতে পারেন জাহাজটিতে অস্ত্রসস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে এবং সেটি ইসরাইল অভিমুখে যাচ্ছে। কাজেই গণহত্যা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তার আওতায় জাহাজটিকে নোঙ্গর করার অনুমতি দেয়া হয়নি বলে তিনি জানান।
নামিবিয়ার এই নারী মন্ত্রী আরো বলেন, গাজা উপত্যকায় যে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা এবং সর্বোপরি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ওপর যে দখলদারিত্ব চলছে তাকে সমর্থন বা তার সহযোগীতে পরিণত হতে পারে না তার দেশ।
গাজা উপত্যকায় গত প্রায় ১০ মাস ধরে ভয়াবহ গণহত্যা চালাচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। আমেরিকাসহ গোটা পশ্চিমা বিশ্ব এই গণহত্যা চালাতে ইসরাইলকে অস্ত্রসস্ত্রসহ সবরকম সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলিও গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের দমন করার জন্য ইসরাইলকে সহযোগিতা করছে। ঠিক এরকম সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়ার মতো অমুসলিম দেশের ইসরাইলবিরোধী পদক্ষেপ বিশ্ব মানবতার ইতিহাসে অনুকরণীয় আদর্শ হয়ে থাকবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।#
পার্সটুডে/এমএমআই/এমএআর/২৯