বাসমতী ছাড়া
চাল রপ্তানিতে বাংলাদেশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত
ভারত বাসমতী ছাড়া সাদা চাল রপ্তানিতে বাংলাদেশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। গতকাল (শুক্রবার) এই বিষয়ে নির্দেশনা জারি করে বলা হয়েছে, এই নির্দেশনা অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে।
২০২৩ সালের জুলাই মাসে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের সরবরাহ নিশ্চিত ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর ১৪ মাস পর তারা সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার খবর দিল এনডিটিভি।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে দেশিটির চাল রপ্তানিকারকরা সন্তুষ্ট হয়েছেন। এই সিদ্ধান্তকে তারা চালের বাজারের জন্য ‘গেম চেঞ্জার’ বা তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। চাল রপ্তানিকারক সংগঠন রাইস ভিলার প্রধান নির্বাহী সুরজ আগরওয়াল বলেছেন, এই কৌশলগত সিদ্ধান্তে যে শুধু রপ্তানিকারকদের আয় বাড়বে তা নয়, বরং কৃষকেরাও উপকৃত হবেন।
সরকারি নোটিশে আরও বলা হয়েছে, সিদ্ধ চালের রপ্তানি শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।
ভারত যে চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে, তার ইঙ্গিত আগেই দেওয়া হয়েছিল। গত আগস্ট মাসের শুরুতে ভারত সরকারের শীর্ষ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান নীতি আয়োগের সদস্য রমেশ চাঁদ বলেন, এবার ধানের আবাদ বেড়েছে, মজুতও আছে পর্যাপ্ত। চাল রপ্তানি হলেও ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।
গত বছর ভারতের চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও কানাডা। দেশগুলো ভারতের ওই সিদ্ধান্তকে অপ্রয়োজনীয় বাণিজ্য বাধা হিসেবে উল্লেখ করে বলে, এতে চাহিদা আছে, এমন অঞ্চলে খাদ্যের প্রভাব বাধাগ্রস্ত হবে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কৃষি কমিটির এক সভায় জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, ইইউ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ বৈশ্বিক খাদ্য বাজারে এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। তার কারণ, ভারত বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশ; বিশ্বের ৪০ শতাংশ চাল রপ্তানি করে তারা। ভারত চাল রপ্তানি না করলে বিশ্ববাজারে প্রভাব পড়ে।#
পার্সটুডে/জিএআর/২৮