মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে বাংলাদেশি জেলে নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
https://parstoday.ir/bn/news/event-i142522
বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলারে মিয়ানমারের নৌ-বাহিনীর গুলিবর্ষণে এক জেলে নিহত ও অপর তিনজন আহত হয়েছে।  
(last modified 2025-07-09T12:00:31+00:00 )
অক্টোবর ১০, ২০২৪ ১৬:৫৮ Asia/Dhaka
  • আহত জেলেদের নিয়ে একটি ট্রলার দুপুরে শাহপরীর দ্বীপে এসে পৌঁছেছে।
    আহত জেলেদের নিয়ে একটি ট্রলার দুপুরে শাহপরীর দ্বীপে এসে পৌঁছেছে।

বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলারে মিয়ানমারের নৌ-বাহিনীর গুলিবর্ষণে এক জেলে নিহত ও অপর তিনজন আহত হয়েছে।  

ট্রলার মালিকেরা জানিয়েছেন, গতকাল (বুধবার) দুপুরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামের বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মিয়ানমারের নৌ-বাহিনী এই গুলি চালায়। এসময় ৬০ মাঝি-মাল্লাসহ পাঁচটি ফিশিং ট্রলার অপহরণ করে মিয়ানমারের নিয়ে যাওয়া হয়। পরে একটি ট্রলারসহ নিহতের মরদেহ এবং ১১ মাঝি-মাল্লারকে ছেড়ে দেয়া হয়।

নিহত জেলে মো. ওসমান শাহপরীর দ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচু মিয়ার ছেলে ও দ্বীপের বাজারপাড়া এলাকার সাইফুল কোম্পানির মালিকাধীন ট্রলারের জেলে ছিলেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত তিন জেলেও ওই ট্রলারের। তবে আহতদের নাম-পরিচয় প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ধরে নিয়ে যাওয়া অপর চারটি ট্রলারের মালিকরা হলেন, শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রীপাড়ার মুসলিম মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান, মৃত আলী হোছনের ছেলে আবদুল্লাহ ও তার ভাই আতা উল্লাহ, উত্তরপাড়ার ছৈয়দ মাঝির ছেলে মো. আছেম। ট্রলার চারটিতে ৬০ জন মাঝি-মাল্লা রয়েছেন।

ট্রলার মালিক সাইফুল জানিয়েছেন, সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে মিয়ানমারের নৌ-বাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে গুলি বর্ষণ করে। এরপর পাঁচটি ট্রলারসহ মাঝি-মাল্লাদের ধরে নিয়ে মিয়ানমারে নিয়ে যায়। যেখানে তার মালিকাধীন ট্রলারে গুলিবিদ্ধদের মধ্যে একজন মারা যায়। বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের নৌ-বাহিনী ট্রলারটি ছেড়ে দিলে নিহত এবং আহত জেলেদের নিয়ে দুপুরে ট্রলারটি শাহপরীর দ্বীপে এসে পৌঁছেছে।

ধরে নিয়ে যাওয়া অপর চার ট্রলারের মালিক হলেন, শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রীপাড়ার মুসলিম মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান, মৃত আলী হোছনের ছেলে আবদুল্লাহ, তার ভাই আতা উল্লাহ, উত্তরপাড়ার ছৈয়দ মাঝির ছেলে মো. আছেম।

এ ব্যাপারে কোস্টগার্ডের সঙ্গে আলাপ করার পরামর্শ দেন বিজিবির টেকনাফের ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানিয়েছেন, বিষয়টি নানাভাবে শোনা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।#

পার্সটুডে/এমএআর/১০