আল-আকসা তুফান অভিযানের তথ্য তেহরান বা হিজবুল্লাহ জানত না: ইরান
(last modified Sun, 13 Oct 2024 04:25:45 GMT )
অক্টোবর ১৩, ২০২৪ ১০:২৫ Asia/Dhaka
  • আল-আকসা তুফান অভিযানের তথ্য তেহরান বা হিজবুল্লাহ জানত না: ইরান

গাজা থেকে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইল-বিরোধী যে আল-আকসা তুফান অভিযান চালিয়েছিলেন তা আগেভাগে জানার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান।

মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এ সংক্রান্ত যে দাবি করেছে তা প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের ইরান মিশন। মার্কিন দৈনিকগুলো দাবি করেছিল, হামাস ২০২২ সালেই আল-আকসা তুফান অভিযান চালাতে চেয়েছিল কিন্তু ইরান ও হিজবুল্লাহকে অবহিত করার জন্য এক বছর দেরি করে।

ইরান মিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, আল-আকসা তুফান অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হামাসের সামরিক বাহিনী ইজ্জাদ্দিন কাসসাম ব্রিগেড একাকি নিয়েছিল এবং বিষয়টি তারা এতটাই গোপন রেখেছিল যে, ইরান দূরে থাক কাতারে অবস্থানরত হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া পর্যন্ত তা আগেভাগে জানতে পারেননি।

বিবৃতিতে বলা হয়, আল-আকসা তুফান অভিযানে ইরান বা হিজবুল্লাহকে জড়ানোর এই প্রচেষ্টার বিন্দুমাত্র মূল্য নেই এবং এই রিপোর্টের পুরোটা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

ইহুদিবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ৭৫ বছর ধরে যে হত্যা ও দমন অভিযান চালিয়ে আসছিল তা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দেয়ার পর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আল-আকসা তুফান অভিযান চালানো হয়। ওই অভিযানে হামাসের যোদ্ধারা ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলীয় বিশাল অঞ্চলের সামরিক ঘাঁটি ও অবৈধ ইহুদি বসতিগুলোর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে ২৪০ জনের বেশি ইসরাইলি পণবন্দি নিয়ে গাজায় ফিরে আসেন।

এরপর গাজায় ইসরাইল ভয়াবহ গণহত্যা শুরু করে যার ফলে এখন পর্যন্ত ৪২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন।  গত বছরের অক্টোবর থেকে দক্ষিণ লেবাননেও আগ্রাসন চালিয়ে আসছে ইহুদিবাদী বাহিনী। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত লেবাননের দুই হাজারের বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন।#

পার্সটুডে/এমএমআই/এমএআর/১৩

 

ট্যাগ