শিখ নেতা নিজ্জর হত্যা: পরস্পরের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করল ভারত-কানাডা
https://parstoday.ir/bn/news/event-i142692-শিখ_নেতা_নিজ্জর_হত্যা_পরস্পরের_কূটনীতিকদের_বহিষ্কার_করল_ভারত_কানাডা
শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকে কেন্দ্র করে ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটছে। ভারত গতকাল (সোমবার) নয়াদিল্লিতে থাকা ছয় কানাডীয় কূটনীতিককে দেশ ত্যাগ করতে বলেছে। কানাডাও  হাই কমিশনারসহ ছয় ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
অক্টোবর ১৫, ২০২৪ ১৯:৩৫ Asia/Dhaka
  • নরেন্দ্র মোদি- হরদীপ সিং নিজ্জর- জাস্টিন ট্রুডো
    নরেন্দ্র মোদি- হরদীপ সিং নিজ্জর- জাস্টিন ট্রুডো

শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকে কেন্দ্র করে ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটছে। ভারত গতকাল (সোমবার) নয়াদিল্লিতে থাকা ছয় কানাডীয় কূটনীতিককে দেশ ত্যাগ করতে বলেছে। কানাডাও  হাই কমিশনারসহ ছয় ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে।

অটোয়া বলেছে, ভারতীয় হাইকমিশনার ও অন্যান্য কূটনীতিকরা কানাডিয় একটি তদন্তের সাথে সম্পর্কিত বিষয়ে ‘স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি’ বলে দাবি করার পরে এই সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটল। তবে নয়াদিল্লি তাদের এ দাবি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সেদেশের রাজধানী অটোয়ায় আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেছেন, তার সরকার কানাডা থেকে ছয়জন ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সহযোগিতা না করার জন্য ভারত সরকারকে দায়ী করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। একই সঙ্গে ভারতের উদ্দেশ্যে কড়া সুরে বার্তা দেন তিনি।

জাস্টিন ট্রুডো দাবি করেছেন, "কানাডার মাটিতে সংঘটিত সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ডে ভারত সরকারের এজেন্টদের জড়িত থাকার যে অভিযোগ রয়েছে, তার তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করেছে দিল্লি। কানাডার মাটিতে কানাডিয়দের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে- এই ভাবনা থেকেই ভারত একটা মৌলিক ভুল করেছে।”

ভারতের বিরুদ্ধে কানাডার পুলিশ রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের (আরসিএমপি) প্রধান মাইক ডুহমের তোলা অভিযোগের পরই একটা সাংবাদিক সম্মেলন করেন জাস্টিন ট্রুডো।

এদিকে, হরদীপ সিংহ নিজ্জরকে খুনের ঘটনার তদন্তে কানাডা সরকার সে দেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনারের দিকে ইঙ্গিত করায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সরকারের এই পদক্ষেপ ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অযৌক্তিক’।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জুন মাসে ভ্যাঙ্কুভারের কাছে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজার হত্যাকান্ডে ভারতীয় এজেন্টরা ভূমিকা রেখেছিল বলে অভিযোগ করার পর ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লি ও অটোয়ার কূটনৈতিকরা বাকযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল। ভারত সরাসরি এ অভিযোগ অস্বীকার করে একে ‘ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে জানায়। ওই বাকযুদ্ধের পর দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কানাডা সরকার নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ পেশ করেনি।রাজনৈতিক লাভের জন্য ভারতকে অপমান করার একটি ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার বলেও জানিয়েছে সাউথ ব্লক। 

প্রসঙ্গত, খালিস্তানি নেতা নিজ্জরকে ২০২০ সালে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে ঘোষণা করেছিল ভারত। তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারের একটি গুরুদ্বারের সামনে তাঁকে হত্যা করা হয়। এর পরে নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো। তখন থেকেই ভারত ও কানাডার   সম্পর্কে চিড় ধরে। #  

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে  লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন