গাজায় ইহুদিবাদী সেনাদের হামলায় এক ইসরাইলি নারী পণবন্দি নিহত: হামাস
(last modified Sun, 24 Nov 2024 03:35:44 GMT )
নভেম্বর ২৪, ২০২৪ ০৯:৩৫ Asia/Dhaka
  • আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা
    আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা

ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ঘোষণা করেছে, গাজা উপত্যকার উত্তর অংশে ইহুদিবাদী ইসরাইলি পাশবিক হামলায় একজন ইসরাইলি নারী পণবন্দি নিহত হয়েছে। সংগঠনটি গাজায় নিহত সকল ইসরাইলি পণবন্দির মৃত্যুর জন্য ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার মন্ত্রিসভাকে দায়ী করেছে।

হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা শনিবার ওই নারী পণবন্দির নিহত হওয়ার খবর দিয়ে জানান, ইসরাইলি বাহিনী গাজা উপত্যকা জুড়ে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধী নেতানিয়াহু, তার সরকার ও তার সামরিক কর্মকর্তারা তাদের পণবন্দিদের প্রাণ হরণের জন্য সম্পূর্ণ দায়ী। কারণ, তারাই বোমা হামলা চালিয়ে পণবন্দিদের হত্যা করার পাশাপাশি এসব পণবন্দির স্বাভাবিক বেঁচে থাকাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।

আবু উবায়দা বলেন, ইহুদিবাদী সেনাদের ভয়াবহ হামলার কারণে ইসরাইলি পণবন্দিদের দেখাশোনার কাজে নিয়োজিত একদল কর্মীর সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। সম্প্রতি তাদের সঙ্গে আবার যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হলে জানা যায়, উত্তর গাজায় ইহুদিবাদী সেনাদের ভয়াবহ হামলায় একজন নারী পণবন্দি নিহত হয়েছে।

হামাসের এই মুখপাত্র জানান, নিহত পণবন্দির সঙ্গে থাকা আরেক নারী পণবন্দির জীবনও ভয়াবহ বিপদের মুখে রয়েছে। আবু উবায়দা আরো বলেন, ইহুদিবাদী সেনারা যেভাবে গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে তাতে এরপর যদি তাদের নিহত পণবন্দিদের লাশও সংরক্ষণ করা না যায় সেজন্যও তাদেরকেই দায়ী থাকতে হবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া আল-আকসা তুফান অভিযানের দিন হামাস প্রায় ২৫০ ইসরাইলি পণবন্দিকে গাজায় নিয়ে আসে। তাদের মধ্যে ১০৫ জনকে ওই বছরেরই নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ছেড়ে দেয়া হয়। বাকি পণবন্দিদের অনেকে পরবর্তীতে ইসরাইলি বিমান হামলা নিহত হয়েছে। #

পার্সটুডে/এমএমআই/এমএআর/২৪