আজমীর শরিফের নিচে মন্দির থাকার দাবি, খতিয়ে দেখার নির্দেশ আদালতের
(last modified Thu, 28 Nov 2024 13:40:30 GMT )
নভেম্বর ২৮, ২০২৪ ১৯:৪০ Asia/Dhaka
  • আজমির শরিফ
    আজমির শরিফ

ভারতের রাজস্থানে ৮০০ বছরের বেশি পুরোনো খাজা মইনুদ্দিন চিশতির দরগাহ 'আজমির শরিফ' শিবমন্দিরের উপর গড়ে তোলা হয়েছে বলে দাবি করছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। উত্তর প্রদেশের সম্ভলে জামা মসজিদ নিয়ে একই দাবির প্রেক্ষিতে সমীক্ষার সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্কের মধ্যেই ওই নতুন দাবি উঠল।

সত্য নির্ধারণে কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল হিন্দু সেনার প্রধান বিষ্ণু গুপ্ত'র পক্ষ থেকে নিম্ন আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। আবেদনের ভিত্তিতে গতকাল (বুধবার) আদালত কেন্দ্রীয় সরকার, কেন্দ্রীয় সংস্থা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (এএসআই) ও দরগাহ কমিটিকে নোটিশ পাঠিয়েছে। এই আবেদন নিয়ে পরবর্তী শুনানি আগামী ২০ ডিসেম্বর।

হিন্দু সেনা সংগঠনের প্রধান বিষ্ণু গুপ্ত তার বিতর্কিত দাবি প্রসঙ্গে বলেন, "অযোধ্যা, কাশী ও মথুরার মতো আজমিরের ওই স্থানেও মুসলমানরা উপাসনালয় গড়ে তোলে শিবমন্দিরের ওপর। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ওই দরগাহস্থলের সমীক্ষা জরুরি। দরগায় হিন্দুদের উপাসনা করার অধিকার দেওয়ার দাবিও তোলা হয় আবেদনে।"

বিষ্ণু গুপ্ত বিচারককে জানান, "শিক্ষাবিদ হরবিলাস সারদা ১৯১০ সালে একটি বই লেখেন। তাতে শিবমন্দিরের অস্তিত্ব থাকার কথা জানিয়েছিলেন। সেই মন্দিরের ওপরই গড়ে তোলা হয়েছে খাজা মইনুদ্দিন চিশতির দরগাহ। বিষ্ণু গুপ্তের দাবি, ওই মুসলিম উপাসনাস্থলকে মন্দির ঘোষণা করে তা হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়া হোক।"

দরগাহর রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থার সম্পাদক সৈয়দ সারোয়ার চিশতি বলেন, "মন থেকে না হলেও অযোধ্যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় তারা মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু কাশী, মথুরা ও সম্ভলে একই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য সদ্য অবসর নেওয়া সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে দায়ী করেন সারোয়ার চিশতি।"

সৈয়দ সারওয়ার চিশতী আরও বলেন, "আফগানিস্তান থেকে শুরু করে ইন্দোনেশিয়াসহ সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ আসেন। এখানে বহুত্ববাদ প্রচার হয়। এ ধরনের কাজ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও জাতির পরিপন্থী।"  তার দাবি, বিচারপতি চন্দ্রচূড় উদ্যোগ নিলে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটতে পারত না।

গত সপ্তাহে উত্তর প্রদেশের সম্ভলের জামা মসজিদে স্থানীয় আদালতের নির্দেশে সমীক্ষক দল জরিপ করতে গেলে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ বাধে। তাতে পাঁচজন নিহত হন। এখানেও মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল বলে দাবি তোলা হয়। উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা তাজমহল ও কুতুব মিনার নিয়েও এই একই দাবি জানিয়ে আসছেন।#  

পার্সটুডে/এমএআর/২৮