আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ-খুন মামলায় জামিন পেলেন সন্দীপ-অভিজিৎ
https://parstoday.ir/bn/news/event-i144828-আরজি_কর_হাসপাতালে_ধর্ষণ_খুন_মামলায়_জামিন_পেলেন_সন্দীপ_অভিজিৎ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় জামিন পেলেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক অধ্যক্ষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪ ১৮:৪৯ Asia/Dhaka
  • (বামে) সন্দীপ ঘোষ (ডানে) অভিজিৎ মণ্ডল
    (বামে) সন্দীপ ঘোষ (ডানে) অভিজিৎ মণ্ডল

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় জামিন পেলেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক অধ্যক্ষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল।

গ্রেফতারের ৯০ দিন পরেও চার্জশিট জমা দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তাই ২০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাদের জামিন মঞ্জুর করল শিয়ালদহ আদালত।  তবে, আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় এখনও জামিন পাননি সন্দীপ। তাই আপাতত জেলেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে। অভিজিতের বিরুদ্ধে অন্য কোনও মামলা নেই। তাই তিনি জেল থেকে বার হতে পারবেন। তবে যখন থানায় ডাকা হবে, তখনই যেতে হবে তাঁকে।

সন্দীপের আইনজীবী বলেন, ''কোনো প্রমাণ পেশ করতে পারেনি সিবিআই। তাই জামিন পেয়েছেন।'' অন্যদিকে, অভিজিতের আইনজীবী বলেন, ''চার্জশিট পেশ করা নিয়ে সিবিআই আদালতে সঠিক কোনও উত্তর দিতে পারেনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, তদন্ত এখনও চলছে। তাই চার্জশিট পেশ করতে দেরি হচ্ছে। কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি সিবিআই।''

জামিন মঞ্জুরের পর আন্দোলনকারী চিকিৎসক ত্রিনেশ মণ্ডল এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, "এই উদাসীনতা সিবিআইয়ের। কলকাতা পুলিশ তো কিছু করতেই পারল না, এরাও নয়। একের পর এক ছাড়া পেয়ে যাচ্ছেন। এর জন্যে আমরা ফের পথে নামব। তার আগে অবশ্যই আমাদের একটা আলোচনা হবে। বিস্তারিত বিবৃতি দিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ জানিয়ে দেওয়া হবে।" 

গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় নারী চিকিৎসকের দেহ। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ ওঠে। ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে কলকাতা পুলিশের এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর আরজি কর-কাণ্ডের ৩৫ দিনের মাথায় গ্রেফতার হন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ। দু'জনকেই গ্রেফতার করে সিবিআই। আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরেই সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার আলি। ১৬ দিন একটানা জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্দীপকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গ্রেপ্তারির ঠিক ৯০ দিন পরেই জামিন পেয়ে গেলেন দু'জনেই। #

পার্সটুডে/এমএআর/১৩