‘সিরিয়া সরকারের রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে সামরিক উপদেষ্টা পাঠানো হয়েছিল’
'আঞ্চলিক দেশগুলোর রাজনৈতিক সীমান্ত রক্ষা ইরানের রেড লাইন'
-
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি বলেছেন, আঞ্চলিক দেশগুলোর রাজনৈতিক সীমান্ত ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাকে তেহরান রেড লাইন হিসেবে নির্ধারণ করেছে। এটিকে ইরানের সর্বোচ্চ উদ্বেগের জায়গা বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
মঙ্গলবার লেবাননের আন-নাহার পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে ইরানের এ অবস্থান তুলে ধরেন আরাকচি। তিনি বলেন, সিরিয়ায় উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াই করতে দামেস্ক সরকারের রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে দেশটিতে সামরিক উপদেষ্টা পাঠিয়েছিল ইরান।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্যদিকে আমেরিকা একটি জবরদখলকারী শক্তি হিসেবে সিরিয়ায় সেনা মোতায়েন করেছে এবং দেশটির একটি বড় অংশ দখল করে রেখেছে। আমেরিকা এ কাজে দামেস্ক সরকারের অনুমতি বা জাতিসংঘের অনুমোদন নেয়নি।
আরাকচি ইরানের এই পুরনো অবস্থানেও অটল থাকার কথা ঘোষণা করেন যে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক প্রতিরোধ ফ্রন্টে যেসব আরব ও মুসলিম সংগঠন যোগ দেবে তেহরান তাদেরকে সমর্থন দিয়ে যাবে।
তিনি সুস্পষ্ট করে বলেন, দখলদারিত্ব ও সম্প্রসারণকামিতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ নিছক একটি মতাদর্শগত বিষয় নয় বরং গোটা পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।
গত ৮ ডিসেম্বর সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আশ-শামের দামেস্ক অভিমুখী অগ্রযাত্রার মুখে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের সময় ইরান দেশটি থেকে নিজের সকল সামরিক উপদেষ্টা প্রত্যাহার করে নেয়।
সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাকায়ি এ সম্পর্কে বলেন, সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে সিরিয়ায় সামরিক উপদেষ্টাদের পাঠানো হয়েছিল এবং দায়িত্বশীল পদক্ষেপ নিয়ে তাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি পরিষ্কার করে বলেন, “আমরা যেমন সিরিয়া দখল করতে যাইনি তেমনি পুরনো [পারস্য] সাম্রাজ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠাও আমাদের লক্ষ্য ছিল না। বরং সন্ত্রাসবাদের হাত থেকে দেশটির জনগণকে রক্ষা করতে দামেস্ক সরকারকে সাহায্য করাই ছিল এ কাজে তেহরানের উদ্দেশ্য।”
পার্সটুডে/এমএমআই/১৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।