দৃষ্টি ১০ স্টারলাইনার ড্রোন পোরবন্দরের কাছে বিধ্বস্ত
-
আদানি গ্রুপের তৈরি দৃষ্টি ১০ ড্রোন বিধ্বস্ত
ভারতের গুজরাটের পোরবন্দরে আদানি ‘ডিফেন্স অ্যান্ড এরোস্পেস’ নির্মিত ‘দৃষ্টি ১০ স্টারলাইনার’ ড্রোন বিধ্বস্ত হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার আগেই ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয়। ইসরাইলি প্রযুক্তি ব্যবহার করে আদানি গ্রুপ ভারতে প্রথম ড্রোন দৃষ্টি ১০ স্টারলাইনার তৈরি করে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল আদানি গ্রুপের দৃষ্টি ১০ স্টারলাইন ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয়। সমুদ্রে অভিযানে যুক্ত হতে ড্রোনটিকে হায়দরাবাদ থেকে পোরবন্দরে পাঠানো হয়। ৪৫০ কেজি ভার বহন করতে সক্ষম ছিল এই ড্রোনটি।
নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের আগে পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের সময় এটি বিধ্বস্ত হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বলেছে, ভেঙে পড়া ড্রোনটি সংশ্লিষ্ট সংস্থা উদ্ধার করেছে। অবশ্য বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও বিবৃতি জারি করেনি আদানি গ্রুপ।
উপকূলে নজরদারি বৃদ্ধিতে এই ড্রোনটি নৌবাহিনীর বিশেষ সম্পদ হতে পারে বলে দাবি করেছিল আদানি গ্রুপ।

নৌ ও সেনাবাহিনী গোয়েন্দা তথ্য ও নজরদারির ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে জরুরি ভিত্তিতে দু’টি ড্রোনের অর্ডার দিয়েছিল। মাঝারি উচ্চতায় উড্ডয়নের ক্ষমতাযুক্ত শক্তিশালী এই ড্রোনের প্রথমটি এরইমধ্যে নৌবাহিনী নজরদারির জন্য ব্যবহার করছে। দ্বিতীয় ড্রোনটি মঙ্গলবার পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।
তবে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার ড্রোন কেনা নিয়ে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলো প্রশ্ন তুলেছিল। তাদের অভিযোগ, সরকারি প্রতিষ্ঠান হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড এবং ভারত ডায়নামিক্স ড্রোন তৈরি করে থাকে তাদের ওপর ভরসা না করে কয়েক শত কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়ে কেন আদানি গ্রুপকে ড্রোন তৈরির দায়িত্ব দেয়া হলো!
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছিলেন, আদানি গোষ্ঠী ইসরাইল থেকে চারটি ‘হার্মিস-৯০০’ ড্রোনের যন্ত্রাংশ আমদানি করে, তা দিয়ে তৈরি ড্রোনের নাম রেখেছে ‘দৃষ্টি-১০ স্টারলাইনার’। তারা শুধু ড্রোনের এয়ারফ্রেম তৈরি করেছে মাত্র!#
পার্সটুডে/জিএআর/১৫