শহীদ রাজিনি ও মোকিসেহ উজ্জ্বল অবদানের কারণে শত্রুদের চক্ষুশূল হয়েছিলেন
তেহরানে সন্ত্রাসী হামলায় দুই বিখ্যাত বিচারপতির শাহাদাত বরণ
-
বিচারপতি মোহাম্মাদ মোকিসেহ (বামে) ও বিচারপতি আলী রাজিনি
তেহরানের কেন্দ্রস্থলে সুপ্রিম কোর্ট ভবনে দু'জন বিখ্যাত সিনিয়র বিচারপতি আজ দুপুরের আগে এক সন্ত্রাসীর গুলি-বর্ষণে শহীদ হয়েছেন।
ইসলামী ইরানের বিচারবিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ৩৯ নম্বর শাখার প্রধান বিচারপতি আলী রাজিনি ও ৫৩ নম্বর শাখার প্রধান বিচারপতি মোহাম্মাদ মোকিসেহ এই ঘটনায় শহীদ হন।
হ্যান্ডগানধারী এক ব্যক্তি এই দুই বিচারপতির কক্ষে প্রবেশ করে তাদের শহীদ করে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। তাদের একজন দেহরক্ষী এই হামলায় আহত হন। হামলাকারী হামলার পরপরই দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আত্মহত্যা করে এবং ওই মুহূর্তে এই হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কথা বলা সম্ভব হয়নি বলে বিচারবিভাগের মুখপাত্র আসগার জাহাঙ্গির জানান।
এই দুই বিচারপতি জাতীয় নিরাপত্তা, গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাস বিষয়ক অপরাধ নিয়ে কাজ করতেন। শহীদ রাজিনি ও মোকিসেহ উজ্জ্বল অবদানের কারণে শত্রুদের চক্ষুশূল হয়েছিলেন বলে জাহাঙ্গির উল্লেখ করেছেন। গত এক বছরে ইরানের বিচারবিভাগ গুপ্তচর ও মুনাফিক চক্র শনাক্তকরণে ব্যাপক পদক্ষেপ নেয়ায় শত্রুরা বেশ অসন্তুষ্ট ও ক্রুদ্ধ হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ইসলামী ইরানে মুজাহিদিনে খালক্ বা এমকেও নামের একটি গোষ্ঠী মুনাফিক নামে উল্লেখিত হয় ব্যাপক মাত্রায়। এই গ্রুপ গুপ্ত হত্যা ও সন্ত্রাসী বোমা হামলার এক দীর্ঘ ইতিহাস বা কলঙ্কিত রেকর্ডের অধিকারী।
আজকের এই সন্ত্রাসী তৎপরতায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার বিষয়ে কাজ চলার কথা জানিয়ে জনাব জাহাঙ্গির বলেছেন, 'খুব শিগগিরই এর ফলাফল জানানো সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করছি'।
প্রাথমিক তদন্তের ফলাফল অনুযায়ী হামলাকারী ব্যক্তি এর আগে সুপ্রিম কোর্টের কোনো মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত ছিলেন না।
গত এক বছরে ইরানের বিচার বিভাগ ইহুদিবাদী ইসরাইল, মার্কিন সরকার ও সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর সঙ্গে জড়িত অনুচর, গুপ্তচর ও সম্পর্কিত ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ, গ্রেফতার ও বিচারের অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে।
৭১ বছর বয়স্ক বিচারপতি রাজিনি ইরানের বিচার বিভাগের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালে তিনি এক সন্ত্রাসী হামলার টার্গেট হয়েছিলেন। আততায়ীরা তার গাড়িতে একটি চুম্বক-বোমা পেতে রেখেছিল। #
পার্সটুডে/এমএএইচ/১৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।