হামাসকে চাপে রাখতে চায় তেল আবিব
ইসরাইল গাজার জন্য ‘আক্রমণাত্মক পরিকল্পনা’ প্রস্তুত করছে: হালেভি
-
বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ইহুদিবাদী ইসরাইল যখন হামাসের কাছ থেকে তার অবশিষ্ট পণবন্দিদের মুক্ত করে নেয়ার চেষ্টা করছে তখন দখলদার সরকারের সেনাপ্রধান জেনারেল হার্জি হালেভি বলেছেন, ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজার জন্য ‘আক্রমণাত্মক পরিকল্পনা’ প্রস্তুত করছে।
শনিবার হামাস গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহর থেকে তিন ইসরাইলি পণবন্দিকে মুক্তি দেয়ার পর এক এক্স পোস্টে ওই পরিকল্পনার কথা জানান হালেভি। শনিবার বিকেলেই তিন পণবন্দির বিনিময়ে ৩৬৯ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরাইল।
জেনারেল হালেভি তার এক্স পোস্টে বলেন, “আমরা পণবন্দিদেরকে ফিরিয়ে আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করার পাশাপাশি আক্রমণাত্মক পরিকল্পনা নিয়েও অগ্রসর হচ্ছি।” তবে ওই পরিকল্পনায় ঠিক কী রয়েছে এবং তা কখন কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সে সম্পর্কে তিনি কোনো ইঙ্গিত দেননি।
গত ১৯ জানুয়ারি কাতার, মিশর ও আমেরিকার মধ্যস্থতায় ও গ্যারান্টিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ কার্যকর হয়। ৪২ দিনব্যাপী প্রথম ধাপের এ যুদ্ধবিরতি কয়েক পর্যায়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। গতকাল (শনিবার) ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে ষষ্ঠ পর্যায়ের বন্দি বিনিময় হয়।
তবে প্রথম ধাপে ফিলিস্তিনি বন্দিদের সময়মতো মুক্তি দেয়া ছাড়া অন্য শর্তগুলো সঠিকভাবে পালন করছে না তেল আবিব। ইহুদিবাদী সেনারা এখনও গাজায় যথেচ্ছা গুলি করে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে এবং চুক্তি অনুযায়ী ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে গাজায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।
এর প্রতিবাদে এক সপ্তাহ আগে হামাস হুমকি দিয়েছিল, তেল আবিব চুক্তির শর্ত পূরণ না করলে আর কোনো ইসরাইলি পণবন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে না। ওই হুমকির জবাব ইহুদিবাদী যুদ্ধাপরাধী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু পাল্টা হুমকি দিলেও বিগত এক সপ্তাহে চুক্তির শর্ত ঠিকমতো পালন করে তেল আবিব। এরপরই কেবল হামাস শনিবার তিন পণবন্দিকে মুক্তি দেয়।#
পার্সটুডে/এমএমআই/এমএআর/১৬