ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা এবং অগ্রগতির ক্ষেত্রে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর সাফল্য
(last modified Sat, 22 Feb 2025 12:21:22 GMT )
ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫ ১৮:২১ Asia/Dhaka
  • ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে আসিরীয় শহীদ রবার্ট লাজার-এর বাড়িতে ইসলামী বিপ্লবের নেতার উপস্থিতি
    ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে আসিরীয় শহীদ রবার্ট লাজার-এর বাড়িতে ইসলামী বিপ্লবের নেতার উপস্থিতি

ওয়ার্ল্ড ইউনিয়ন অফ রেজিস্ট্যান্স স্কলার্স-এর নির্বাহী পরিচালক শেখ হোসেইন গেবরিস ইরানের ইসলামি বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর আলোকিত চিন্তাভাবনাকে 'ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকারের গ্যারান্টি' বলে মন্তব্য করেছেন।  

তিনি বলেছেন: "ইমাম খামেনেয়ীর আলোকিত চিন্তাভাবনা কাজে লাগিয়ে ইসলামী ইরান ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করেছে।"

মেহের নিউজ এজেন্সি'র বরাত দিয়ে পার্স টুডে জানিয়েছে, "আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর বুদ্ধিবৃত্তিক ব্যবস্থায় জাতির অধিকার এবং বৈধ স্বাধীনতা" শীর্ষক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন উপলক্ষে আরবি ভাষায় এক বার্তায় ওয়ার্ল্ড ইউনিয়ন অফ রেজিস্ট্যান্স স্কলার্স-এর নির্বাহী পরিচালক এবং লেবাননের মুসলিম স্কলার্স অ্যাসেম্বলির প্রশাসনিক পরিষদের সদস্য লিখেছেন: "ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী ছিলেন মরহুম ইমাম খোমেনীর যোগ্য উত্তরসূরি, যিনি দক্ষতা ও যোগ্যতার মাধ্যমে এই আস্থা অর্জ করেছিলেন। তিনি কেবল ইরানি জাতির নয়, সমগ্র মুসলিম জাতির আদর্শের প্রতীক। ইরানের ইসলামী সরকার, সর্বোচ্চ নেতার দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে একটি বড় শত্রুর চাপিয়ে দেওয়া মারাত্মক অবরোধকে সুযোগে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছে; যা খাঁটি মুহাম্মদি ইসলামের শিক্ষার উপর ভিত্তি করে বাস্তবায়িত। যদিও আমরা মাঝেমধ্যে ইরানে কিছু অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলা প্রত্যক্ষ করেছি, তবুও বলা যেতে পারে যে, এটি একটি চায়ের কাপে ঝড়ের মতো এবং পরিস্থিতি দ্রুতই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।"

শেখ হোসেইন গেবরিস তার নোটে আরও লিখেছেন, "আজ আমরা স্পষ্টভাবে বলতে পারি যে, সর্বোচ্চ নেতার প্রজ্ঞার কারণে ইরান সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধের একটি মডেল উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া, প্রযুক্তি ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও মানবিক ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করতেও সক্ষম হয়েছে।"

ওয়ার্ল্ড ইউনিয়ন অফ রেজিস্ট্যান্স স্কলার্স-এর নির্বাহী পরিচালক আরও লিখেছেন, "ইসলামী ইরান আজ সর্বশক্তিমান আল্লাহর অনুগ্রহ এবং সর্বোচ্চ নেতার বিজ্ঞচিত নেতৃত্বের কারণে জনগণের সেবা, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রগতিশীল দেশগুলোর মধ্যে একটিতে পরিণত হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে ইসলামের বিশুদ্ধ শিক্ষা, মূল্যবোধ এবং বুদ্ধিবৃত্তিক ব্যবস্থাকে কাজে লাগানোর কারণে।"

শেখ হোসেইন গেবরিস তার নোটে আরও লিখেছেন, "ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান খুব অল্প সময়ের মধ্যে দেশ গঠন এবং সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য একটি মডেল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে, যা একটি রেকর্ড হিসেবে বিবেচিত হয়। পাশাপাশি প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, স্বাধীনতা সংরক্ষণ, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠ, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা এবং মর্যাদা রক্ষার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে। আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, ইমাম খামেনেয়ীর (আল্লাহ তাকে হেফাজত করুন) প্রজ্ঞার মাধ্যমে ইসলামী ইরান ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। শত্রুদের নানা অপচেষ্টা সত্ত্বেও ইরানে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের অনুসারীরা অবাধে তাদের অধিকার ভোগ করছেন।"#

পার্সটুডে/এমএআর/২২