চাপ বা বলপ্রয়োগ করে ইরানকে নতিস্বীকারে বাধ্য করা যাবে না
কাতারের আমির বা রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমেরিকার কোনো বার্তা বহন করেননি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি বলেছেন, কাতারের আমির বা রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেউই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো বার্তা ইরানকে পৌঁছে দেননি। তিনি গতকাল (বুধবার) মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
তবে আরাকচি একথা বলেন যে, কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আলে সানি ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের সাম্প্রতিক সাক্ষাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গে তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ইরানের দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মাথায় নিয়ে ইরান বহু বছর ধরে নিজের পথচলা অব্যাহত রেখেছে এবং এই পথচলা আগামী দিনগুলোতেও জারি থাকবে। আরাকচি বলেন, “তারা যদি হুমকি, শক্তি কিংবা চাপ প্রয়োগ করে ইরানকে নতিস্বীকার করতে বাধ্য করতে চায় তাহলে তারা কোনোদিন সফল হবে না।”
একইসঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথাও জানিয়ে দেন, তার দেশ এখন পর্যন্ত একথা প্রমাণ করেছে যে, ইরানকে সম্মান জানানো হলে দেশটি তাতে ইতিবাচক সাড়া দেয়।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ পুনর্বহাল করে একটি নির্দেশ জারি করেছেন। তিনি ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়ে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ইরানের বিরুদ্ধে প্রথমবার ওই চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। পরে জো বাইডেনের শাসনামলে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি থেকে সরে যাওয়ার কোনো ঘোষণা ওয়াশিংটন দেয়নি। তারপরও তা ‘পুনর্বহালের’ ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।
একইসঙ্গে তিনি ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসারও প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে তেহরান সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, চাপ বা হুমকির মুখে তেহরান কারো সঙ্গে আলোচনা করে না। #
পার্সটুডে/এমএমআই/২৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।