ইউক্রেন সংকট নিরসন ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়াতে মতৈক্য
(last modified Wed, 19 Mar 2025 09:11:35 GMT )
মার্চ ১৯, ২০২৫ ১৫:১১ Asia/Dhaka
  • ইউক্রেন সংকট নিরসন ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়াতে মতৈক্য

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। এ সময় জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। গতকাল (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় শুরু হয় এ ফোনালাপ।

দেড় ঘণ্টার ফোনালাপ শেষে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ক্রেমলিন বলছে, জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়া ও ইউক্রেন আগামী ৩০ দিন হামলা বন্ধ রাখবে- এমন প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। ক্রেমলিনের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, পুতিন তাৎক্ষণিকভাবে রুশ সামরিক বাহিনীকে এ বিষয়ে আদেশ দিয়েছেন।

এছাড়া, কৃষ্ণসাগরে নিরাপদে চলাচল করার প্রস্তাবে পুতিন গঠনমূলকভাবে সাড়া দিয়েছেন। ফোনালাপে পুতিন বলেছেন, ১৯ মার্চ রাশিয়া ও ইউক্রেন ১৭৫ জন বন্দী বিনিময় করবে। এছাড়া, রাশিয়ার পক্ষ থেকে ১৩ জন মারাত্মক আহত ইউক্রেনীয় সেনাকে হস্তান্তর করা হবে।

পুতিন আরো বলেছেন, সংঘাতের তীব্রতা রোধ এবং রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে এর সমাধানের মূল শর্ত হলো বিদেশি সামরিক সাহায্য ও কিয়েভকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ করা।

হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি এবং যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেছেন ট্রাম্প ও পুতিন। একটি স্থায়ী শান্তির মাধ্যমে এ সংঘাতের অবসান হওয়া উচিত বলে দুই নেতাই একমত হন।

হোয়াইট হাউস আরো জানিয়েছে, আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতিতে ভবিষ্যতে বিরাট লাভ রয়েছে বলে দুই নেতা ঐকমত্য পোষণ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে বিশাল অর্থনৈতিক চুক্তি ও শান্তি অর্জনের পর ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মতো বিষয়।

পুতিন ও ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য কৌশলগত অস্ত্রের বিস্তার ঠেকানোর প্রয়োজনীয়তা এবং ইরান নিয়েও আলোচনা করেছেন।#

পার্সটুডে/এসআইবি/১৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।