সুস্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ: ইয়েমেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ইয়েমেনে মার্কিন বিমান হামলায় ৭০ আফ্রিকান বন্দি নিহত, আহত ৫০
ইয়েমেনের সা'দা শহরে আফ্রিকান অভিবাসী আশ্রয়কেন্দ্রে মার্কিন বিমান হামলায় প্রায় ৭০ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকাপড়া বন্দিদের মৃতদেহ সরিয়ে নেওয়ার সময় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আল-মাসিরাহ নিউজ নেটওয়ার্ক আজ (সোমবার) জানিয়েছে, সা'দা শহরে আফ্রিকান অভিবাসীদের জন্য নির্ধারিত একটি আশ্রয়কেন্দ্র লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। কেন্দ্রটিতে প্রায় ১১৫ জন আফ্রিকান বন্দি ছিল।
ইয়েমেনের সিভিল ডিফেন্স এবং রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা আজ ভোরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর পাশাপাশি উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন এবং ইতোমধ্যে ৩৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এছাড়া, ৫০ জনেরও বেশি আহত অভিবাসীকে রিপাবলিকান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের বেশিরভাগের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

ইয়েমেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, "অভিবাসী আশ্রয়কেন্দ্রে মার্কিন বাহিনীর বিমান হামলা 'একটি সুস্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ' এবং তা সকল আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন।"
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “সা’দায় আফ্রিকান অভিবাসীদের জন্য আটক কেন্দ্রটি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (IOM) এবং আন্তর্জাতিক রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (IFRC)-এর তত্ত্বাবধানে ছিল।
গতরাতের শেষ প্রহরে সা’দা শহরে অভিবাসী আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও, মার্কিন বাহিনী কিতাফ জেলায় তিনটি এবং শহরের আশেপাশে দুটি হামলা চালিয়েছে।
মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) আফ্রিকান অভিবাসী আটক কেন্দ্রে তাদের আক্রমণ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেনি। সেন্টকমের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "নিরাপত্তার স্বার্থে, আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের চলমান বা ভবিষ্যৎ অভিযানের বিবরণ প্রকাশ সীমিত করেছি। আমরা আমাদের অভিযানের পদ্ধতিতে খুব সচেতন, তবে আমরা কী করেছি বা আমরা কী করব সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে প্রকাশ করব না।"
২০২৫ সালের ১৫ মার্চ থেকে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সমর্থনে মার্কিন সরকার ইয়েমেনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে। এসব হামলা সত্ত্বেও ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী, গাজা উপত্যকার প্রতিরোধ আন্দোলন ও ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে আমেরিকা ও ইসরাইলবিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে।#
পার্সটুডে/এমএআর/২৯