আইআরআইবি ভবনে ইসরায়েলের ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে: ড. জেবেলি
-
সাংবাদিকদে ব্রিফ করছেন আইআরআইবি প্রধান ড. পেইমান জেবেলি
ইরানের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থার (আইআরআইবি) প্রধান ড. পেইমান জেবেলি জানিয়েছেন, গত ১৬ জুন রেডিও ও টেলিভিশন ভবনে ইসরায়েলি বাহিনীর ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। তিনি জানান, বিস্ফোরণস্থল এবং সৃষ্ট গর্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভবনটির বিভিন্ন অংশে ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর আঘাত স্পষ্ট।
আজ (রোববার) সকালে বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্রদূত ও কুটনীতিকদের সঙ্গে ভবনটি পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
জেবেলি বলেন, "এই ভবন শুধু ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার নয়, বরং এটি সংগ্রাম, প্রতিরোধ এবং দৃঢ়তার প্রতীক। বাহ্যিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ভবনটি এখনও দাঁড়িয়ে আছে এবং সুন্দরভাবে পুনর্নির্মিত হবে।"
জেবেলি জানান, কারিগরি বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ভবনটি পুনর্নিমাণযোগ্য। অর্থের সংস্থান হলে এক বছরের মধ্যেই কাজ শেষ করা সম্ভব।
তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করে বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার দাবিদার দেশগুলো এই হামলার প্রমাণ দেখতে পর্যন্ত আসেনি। তারা সত্য দেখার সাহস রাখে না। আমরা আশা করেছিলাম যে, তারা এসে বাস্তবতা নিজের চোখে দেখে, নিজ নিজ জনগণকে জানাবে।”

তিনি আরও বলেন, "আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব নথি পাঠানো হয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রেসিডেন্টের আইনি বিভাগ ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা আশা করি, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ইসরায়েলের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ন্যায্য অবস্থান নেবে ও তাদের দায়িত্ব পালন করবে।”
এসময় ড. জেবেলি বলেন, এই হামলা ইরানের জাতীয় ঐক্য এবং গণমাধ্যমকর্মীদের মনোবলকে আরও দৃঢ় করেছে।
আইআরআইবি প্রধান বলেন, “গাজায় নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক যুদ্ধ, ইহুদিবাদী প্রচারণার ছায়ায় চাপা পড়ে থাকবে না। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে ইউরোপজুড়ে গাজাবাসীদের প্রতি সংহতির ঢেউ তৈরি হয়েছে।”
গত ১৬ জুলাই বিকেল আইআরআইবি সদর দপ্তরে বর্বরোচিত হামলা চালায় ইসরায়েল। প্রথমে বলা হয়েছিল, ভবনের ওপর থেকে সাতটি এবং দক্ষিণ পাশের দ্বিতীয় তলায় তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। তবে নতুন এক বিস্ফোরণস্থলের সন্ধান পাওয়ায় জানা গেছে, একটি ক্ষেপণাস্ত্র ভবনের নিচে প্রবেশ করেছে। ফলে মোট আঘাত হানা ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১টিতে।#
পার্সটুডে/এমএআর/১৩