লারিজানিকে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে প্রতিনিধি নিযুক্ত করলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা
https://parstoday.ir/bn/news/event-i151006
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী প্রবীণ রাজনীতিবিদ ড. আলী লারিজানিকে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে (এসএনএসসি) নিজের প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
(last modified 2025-08-07T12:56:00+00:00 )
আগস্ট ০৭, ২০২৫ ১৮:২৪ Asia/Dhaka
  • আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী (ডানে)  ড. আলী লারিজানি (বামে)
    আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী (ডানে) ড. আলী লারিজানি (বামে)

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী প্রবীণ রাজনীতিবিদ ড. আলী লারিজানিকে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে (এসএনএসসি) নিজের প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

আজ (বৃহস্পতিবার) এক ডিক্রিতে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, এই নিয়োগ ইরানের সংবিধানের ১৭৬তম অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে, যেখানে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত দায়িত্বের কাঠামো নির্ধারিত রয়েছে।

ডিক্রিতে তিনি লারিজানির পূর্বসূরি আলী আকবর আহমাদিয়ানকে বিগত বছরগুলোতে এই দায়িত্ব পালনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, আহমাদিয়ানকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী দায়িত্ব পালনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।

সর্বোচ্চ নেতার এই নিয়োগের মাধ্যমে লারিজানি, আহমাদিয়ানের স্থলাভিষিক্ত হন এবং আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর মনোনীত দু'জন প্রতিনিধির একজন হিসেবে দায়িত্ব নেন। সাঈদ জালিলি বর্তমানে অন্য প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে মঙ্গলবার, প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, আলী লারিজানিকে সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের নতুন সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ দেন। এই পদেও তিনি আহমাদিয়ানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন, যিনি ২০২৩ সালের মে মাস থেকে এ দায়িত্বে ছিলেন।

আলী আকবর আহমাদিয়ান ও আলী শামখানি

প্রতিরক্ষা পরিষদে আহমাদিয়ান ও শামখানিকে প্রতিনিধি করলেন সর্বোচ্চ নেতা

একই দিনে জারি করা আরেক ডিক্রিতে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী, আলী আকবর আহমাদিয়ান এবং আলী শামখানিকে ইরানের প্রতিরক্ষা পরিষদে নিজের প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। শামখানি নিজেও এক সময় জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান ছিলেন।

এই নিয়োগ এসেছে এমন এক সময়, যখন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ দেশের কৌশলগত প্রতিরক্ষা নীতিতে বড় ধরনের কাঠামোগত পরিবর্তনের অংশ হিসেবে একটি প্রতিরক্ষা পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে।

নতুন গঠিত এই প্রতিরক্ষা পরিষদের দায়িত্ব হবে সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রতিরক্ষা কৌশল প্রণয়ন করা।

এই পরিষদের প্রধান থাকবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। এছাড়াও তিনটি শাখার (বিচার, আইন ও নির্বাহী) প্রধানগণ, শীর্ষ সামরিক কমান্ডার এবং প্রতিরক্ষা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা এর সদস্য হবেন।#