ইরান আক্রান্ত হলে শত্রুদের ওপর 'নরক' নেমে আসবে: আইআরজিসির প্রধান
https://parstoday.ir/bn/news/event-i153272-ইরান_আক্রান্ত_হলে_শত্রুদের_ওপর_'নরক'_নেমে_আসবে_আইআরজিসির_প্রধান
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ডবাহিনী আইআরজিসির প্রধান বলেছেন, তার দেশ ভবিষ্যতের যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত জবাব দিতে প্রস্তুত আছে। একইসঙ্গে তিনি শত্রুদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে তেহরান "শত্রুদের উপর নরক নামিয়ে আনবে।
(last modified 2025-10-22T14:15:25+00:00 )
অক্টোবর ২১, ২০২৫ ২০:৩২ Asia/Dhaka
  • রানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ডবাহিনী আইআরজিসির প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ পাকপুর।
    রানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ডবাহিনী আইআরজিসির প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ পাকপুর।

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ডবাহিনী আইআরজিসির প্রধান বলেছেন, তার দেশ ভবিষ্যতের যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত জবাব দিতে প্রস্তুত আছে। একইসঙ্গে তিনি শত্রুদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে তেহরান "শত্রুদের উপর নরক নামিয়ে আনবে।

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ পাকপুর মঙ্গলবার তেহরানে ইরাকি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা কাসিম আল-আরাজির সাথে এক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন। জুন মাসে ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের বিরুদ্ধে ১২ দিনের আগ্রাসনের দিকে ইঙ্গিত করে কমান্ডার সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে শত্রুরা আঞ্চলিক দেশগুলোর ঐক্যকে দুর্বল করতে চাইছে।

"ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠী কমান্ডারদের হত্যা এবং নাশকতার মাধ্যমে ইরানের জাতীয় সংহতিকে ব্যাহত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সর্বোচ্চ নেতার প্রজ্ঞা এবং জনগণ সর্বোচ্চ স্তরে সতর্ক থাকায় এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছিল।" জেনারেল পাকপুর বলেন, 'শত্রুরা ভেবেছিল যে সংঘাতের প্রথম দিনগুলোতে আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি হ্রাস পাবে। কিন্তু আমরা শক্তি এবং নির্ভুলতার সাথে কাজ করেছি এবং আমাদের লক্ষ্যবস্তুগুলোকে সঠিকভাবে ধ্বংস করেছি।'

মেজর জেনারেল পাকপুর ১২ দিনের যুদ্ধের সময় ইরান-বিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ন্ত্রণে ইরাকের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং সীমান্ত এলাকা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি মাঠ কমিটি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। 'এই গোষ্ঠীগুলো উভয় দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং যৌথ সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

বৈঠকে ইরাকি কর্মকর্তা ইসরায়েলি-মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরানি জাতির দৃঢ়তার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন "ইরানের বিরুদ্ধে ১২ দিনের ইহুদিবাদী যুদ্ধে শত্রুরা আশা করেছিল যে ইরানি জনগণ তাদের নিজস্ব ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জেগে উঠবে, কিন্তু এর পরিবর্তে বিপ্লবের নীতির প্রতি ইরানি জনগণ ঐক্য এবং আনুগত্য প্রদর্শন করেছে।" ইরাকি উপদেষ্টা বলেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য আঞ্চলিক দেশগুলোর ঐক্য গুরুত্বপূর্ণ।#

পার্সটুডে/এমবিএ/২১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।