জিএসটি কর হ্রাসে বাজার চাঙ্গা হয়নি, বেকারত্বের হার বেড়েছে
https://parstoday.ir/bn/news/event-i154182-জিএসটি_কর_হ্রাসে_বাজার_চাঙ্গা_হয়নি_বেকারত্বের_হার_বেড়েছে
ভারতে আসন্ন ভোটকে সামনে রেখে মোদী সরকার পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি) কমিয়ে বাজার চাঙ্গা করা এবং  কর্মসংস্থান বাড়ানোর দাবি করেছে। তবে বাস্তবে দেখা গেছে কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি ফাঁকা বুলি ছাড়া কিছুই নয়। পণ্য পরিষেবা কর বা  জিএসটি’র হার কমানোর পরও মূল্যবৃদ্ধির হার কমেনি। কর্মসংস্থানও বাড়েনি বরং বেকারত্বের হার বেড়েছে।
(last modified 2025-11-18T13:18:46+00:00 )
নভেম্বর ১৮, ২০২৫ ১৬:৪৯ Asia/Dhaka
  • জিএসটি কমানো হলেও বাজারে প্রভাব নেই, বেকারত্বের হার বেড়েছে
    জিএসটি কমানো হলেও বাজারে প্রভাব নেই, বেকারত্বের হার বেড়েছে

ভারতে আসন্ন ভোটকে সামনে রেখে মোদী সরকার পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি) কমিয়ে বাজার চাঙ্গা করা এবং  কর্মসংস্থান বাড়ানোর দাবি করেছে। তবে বাস্তবে দেখা গেছে কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি ফাঁকা বুলি ছাড়া কিছুই নয়। পণ্য পরিষেবা কর বা  জিএসটি’র হার কমানোর পরও মূল্যবৃদ্ধির হার কমেনি। কর্মসংস্থানও বাড়েনি বরং বেকারত্বের হার বেড়েছে।

দ্য হিন্দুর খবরে লেখা হয়েছে, গতকাল(সোমবার) কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয়ের পিরিয়োডিক লেবার ফোর্স সার্ভে (পিএলএফএস) রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে বেকরত্বের হার বেড়েই চলেছে। আর শহরাঞ্চলে বেকারত্বের  হার বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তুলনামূলকভাবে গ্রামে বেকারত্বের হার কম।

পিএলএফএস সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৫ বছরের বেশি বয়স এমন যুবকদের মধ্যে বেকারত্বের হার অক্টোবরে ৬.৮ থেকে বেড়ে ৭ শতাংশ হয়েছে। শহর এবং গ্রাম মিলিয়ে গড় বেকারত্বের হার অক্টোবরে হয়েছে ৫.২ শতাংশ।

এদিকে চলতি বিধানসভা ভোটের সময়ও মোদী সরকারের পক্ষ থেকে কর্মসংস্থানের বিষয়ে নানারকম প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বেকারত্বের হার  যে কমেনি, তা পিএলএফএস’র রিপোর্টেই স্পষ্ট হয়েছে। গত আগস্টে বেকারত্বের  হার ৫.২শতাংশ ছিল।অক্টোবরে একই হার রয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে বেকারত্বের কমেনি।

প্রতিবেদনে  বলা হয়েছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে যুব সমাজের (১৫ থেকে ২৯বছর বয়স) বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ১৫ শতাংশ। যা গত জুলাই মাসে ছিল ১৪.৬ শতাংশ। এতে মহিলাদের বেকারত্বের হার আরও বেশি। মহিলাদের বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭.৮ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সরকার জিএসটি কমিয়ে দিয়ে বাজার চাঙ্গা করার প্রচার চালালেও তাতে বিশেষ কোনও প্রভাব পড়েনি। মানুষের আয় না বাড়ায় সরকার কর কমালেও পুজোর মৌসুমে বাজারের বিক্রি বিশেষ বাড়েনি। অনেকের মত, জিএসটি হার কমানোর প্রচার চললেও বাস্তবে পণ্যের দামে এতে কোনও প্রভাব পড়েনি। ফলে বিক্রির বাজারে কোনও প্রভাব দেখা যায়নি। মাসিক কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি ঘটেনি। উল্টো এই সময়ে কর্মসংস্থানের হার কমে গেছে। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুব সমাজ। তাদের বেকারত্ব অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে চলেছে।

কেন্দ্রের প্রকাশিত মাসিক পিএলএফএস রিপোর্টে দেখা গেছে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির হার মোদী আমলে ক্রমশ হ্রাস পেয়েছে। মোদী সরকার নির্বাচনের মুখে জিএসটি’র হার কমিয়ে আয় সাশ্রয়ের প্রচার করে বাজার চাঙ্গা হবে বলে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রচার চালালেও তাতে বিশেষ কোনও অগ্রগতি দেখা যায়নি।

উল্লেখ্য, পিএলএফএস সমীক্ষা রিপোর্টে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের হার উল্লেখ করা হয়েছে। দেশের ৯০ শতাংশ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয় অসংগঠিত ক্ষেত্রে।

অসংগঠিত ক্ষেত্রের অবস্থা ভালো নয়। করোনার সময়কালে লকডাউন, নোট বাতিল ও জিএসটি’র প্রভাবে ছোট ও মাঝারি কলকারখানায় যে সঙ্কট নামে তা আজও কাটেনি। বহু ছোট কারখানা পাকাপাকি ভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এনএসও’র রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে,

জানুয়ারি-মার্চে অসংগঠিত শিল্পে নতুন কর্মসংস্থান ১৩.১ কোটি, এপ্রিল-জুনে কমে ১২.৯ কোটি। প্রায় এক কোটি শ্রমিকের চাকরি এক থেকে তিনমাসের মধ্যে কমেছে। সমস্ত অসংগঠিত শিল্পে স্থায়ী কর্মী নেই এবং তাদের সামাজিক সুরক্ষা নেই।#

পার্সটুডে/জিএআর/১৮