মুসলিমদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করার দাবি জানালেন বিজেপি বিধায়ক
https://parstoday.ir/bn/news/india-i104406-মুসলিমদের_দ্বিতীয়_শ্রেণির_নাগরিক_করার_দাবি_জানালেন_বিজেপি_বিধায়ক
ভারতের বিহারের বিজেপি বিধায়ক হরিভূষণ ঠাকুর মুসলিমদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করার দাবি জানিয়েছেন। তার এ ধরণের মন্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২ ১৮:১৯ Asia/Dhaka
  • বিহারের বিজেপি বিধায়ক হরিভূষণ ঠাকুর
    বিহারের বিজেপি বিধায়ক হরিভূষণ ঠাকুর

ভারতের বিহারের বিজেপি বিধায়ক হরিভূষণ ঠাকুর মুসলিমদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করার দাবি জানিয়েছেন। তার এ ধরণের মন্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।

সম্প্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন বিধায়ক হরিভূষণ ঠাকুর। এ সময়ে, তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল,‘মিম’  বিধায়ক দাবি করেছেন, দেশের মুসলিমদের তাদের জনসংখ্যার ভিত্তিতে অংশীদারিত্ব দেওয়া উচিত। এ প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক হরিভূষণ ঠাকুর বলেন, '১৯৪৭ সালে ধর্মের নামে দেশ ভাগ হয়েছিল। সেজন্য ওরা অন্য দেশ পেয়ে গেছে এবং তারা সেখানে চলে যাক। যদি তারা এখানে বাস করে তাহলে আমি সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি তাদের ভোটাধিকার শেষ করে দেওয়া হোক। এবং তারা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়ে ভারতে বাস করতে পারে।’ 

তিনি বলেন আপনারা আফগানিস্তানকে দেখুন, পাকিস্তানকে দেখুন, এরা মানবতার শত্রু। অবশ্যই ওদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হোক বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি বিধায়ক হরিভূষণ ঠাকুর। 

বিজেপি বিধায়কের ওই মন্তব্য প্রসঙ্গে ‘আপ’ নেতা সঞ্জয় সিং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় বলেন, 'আরে, আপনার দোকান চলবে কী করে ঠাকুর সাহেব? শুধু  মুসলিমদের ভয় দেখিয়ে আপনাদের ‘ভারতীয় ঝগড়া পার্টি’  চলছে।’ 

সাংবাদিক ব্রিজেশ রাজপুত লিখেছেন,  তিনি জানেন না তিনি কী এবং কেন বলছেন এবং তা থেকে কী লাভ হবে। 

সাকিব নামের এক ইউজার লিখেছেন, প্রিয় বিধায়ক,  সংবিধানের অবমাননার ব্যাপার হলো এটা যে, আপনার মতো নির্বোধ মানুষ দেশের সাংবিধানিক পদে বসে আছেন। যিনি গেরুয়া চাদর পরবেন তিনি যা কিছু বলবেন, এ দেশের ব্যবস্থার কী ভুল?   

রমেশ যাদব নামে একটি টুইটার হ্যান্ডেল থেকে মন্তব্য করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন কেন এমন লোকেদের বিরুদ্ধে কঠোরতা দেখায় না? এ ধরণের বিষ ছড়ানো লোকেরা  আমাদের সমাজে বাস করে। 

সুলভ নামের একজন ইউজার লিখেছেন, দেশ ভাঙার এমন বক্তব্যের বিষয়ে সরকারের কী কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত নয়?     

অখিলেশ তিওয়ারি নামের একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে-ওদের কাজ শুধুমাত্র এবং শুধুমাত্র তাদের রাজনৈতিক লাভের জন্য অন্যদের সাথে লড়াই করা। 

অর্জুন সিং নামের টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, সংবিধানের বিরোধিতাকারীরা কীভাবে জাতীয়তাবাদী হতে পারে? বিধায়ক হওয়ার পর এভাবে হাওয়ায় ওড়া মানুষগুলো পৃথিবীতে মুখ থুবড়ে পড়ে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। #

পার্সটুডে/এমএএইচ/আবুসাঈদ/২৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।