বেনাপোল স্থলবন্দরে ৬ ভারতীয় ট্রাক আগুনে পুড়ে ছাই, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা
(last modified Fri, 15 Apr 2022 17:59:06 GMT )
এপ্রিল ১৫, ২০২২ ২৩:৫৯ Asia/Dhaka

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে যাওয়া ছয়টি ট্রাক আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। এর ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আজ (শুক্রবার) ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় ট্রাক মালিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। একইসঙ্গে তারা বেনাপোল স্থল বন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।   

এ প্রসঙ্গে ‘পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, “আজ পয়লা বৈশাখের শুভদিনে আমাদের অশুভ খবর। আমরা খুব ভারাক্রান্ত অবস্থায় রয়েছি। বাংলাদেশের বেনাপোলে আমাদের ভারতীয় ছয়টি গাড়িতে ব্লিচিং পাউডার ছিল, সেই গাড়িগুলো একেবারে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমরা সকালেই খবর পেয়েছি যে, বাংলাদেশের বেনাপোলে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে! আমাদের প্রশ্ন হল এত সুরক্ষিত বেনাপোল বন্দর সেখানে যেন একটা উৎসবের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেক বছর সেখানে কোনও না কোনও ভাবে কিছু গাড়ি আগুনে পুড়ে যাচ্ছে। কয়েক মাস আগে আমাদের একটি গাড়ি সেটাতেও ব্লিচিং পাউডার ছিল, সেটা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। গত বছর এরকম ঘটনা ঘটেছে। তাহলে সুরক্ষিত বলতে কী বোঝায় আমরা বুঝতে পারছি না। বেনাপোল পোর্ট  আজকে সাড়ে ৮টা/৯টার পর বেনাপোল প্রশাসন খুব তৎপরতার সঙ্গে আগুন যাতে না ছড়ায় তার ব্যবস্থা করেছে।’  

তিনি বলেন, ‘ভারতীয় চালকরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তারা বাংলাদেশে যাবে কিন্তু প্রাথমিকভাবে বিএসএফের পক্ষ থেকে বড় বাধা আমাদের অস্বস্তিতে ফেলেছে। আমরা নিরাপত্তার ঢিলেমি  পরিষ্কার লক্ষ্য করছি। এই ঢিলেমি যাতে আগামীদিনে না থাকে সেজন্য সচেষ্ট হতে হবে। বেনাপোল পোর্ট সম্প্রতি সিসিটিভি নজরদারির মধ্যে এসেছে, এটা খুব ভালো দিক। কিন্তু যখন তখন যেকোনভাবে আগুন লেগে যাওয়ার বিরুদ্ধে বেনাপোল বন্দরকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ রকম নিরাপত্তাহীনতা যদি চলতে থাকে তাহলে আগামীদিনে বেনাপোল দিয়ে ব্যবসায় মানুষ নিরুৎসাহিত হবে। আমাদের আশা বাংলাদেশ সরকার যথাযথ সুরক্ষার ব্যবস্থা করবে।”

এ প্রসঙ্গে বনগাঁ মহকুমা ‘আইএনটিইউসি’র সভাপতি প্রভাস পাল বলেন, আজ সকালে আগুন লাগার খবর পাওয়ার সাথে সাথে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে আমরা বেনাপোল বন্দরে আমাদের গাড়ির অবস্থা দেখতে চাওয়ার চেষ্টা করলেও প্রাথমিকভাবে বিএসএফ যেতে দেয়নি। ঘণ্টা খানেক পরে অনুমতি পেলে আমাদের দু’জন চালক সেখানে যেতে সমর্থ হয়।  

তিনি বলেন, “বেনাপোল স্থলবন্দর একটা আন্তর্জাতিক বন্দর কিন্তু আমরা জানি না প্রতি এক বছর ৫ টা ৭ টা, ১০টা গাড়ি পুড়ে যাচ্ছে, মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা কোনও ক্ষতিপূরণের বীমা সুবিধা পাচ্ছে না। আমাদের একটাই প্রশ্ন যেসব মালিকের গাড়ি পুড়ে গেছে তারা এখন কী করবে? তাদের অবস্থা তো ভয়াবহ অবস্থা। তাদের তো না খেয়ে মরার মত অবস্থা!” মালিকরা যাতে বীমা সুবিধা ও সুষ্ঠু বিচার পায় সেজন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইএনটিইউসি নেতা প্রভাস পাল। #          

পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/১৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।