সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে নোটিস, প্রতিহিংসার রাজনীতি বলল কংগ্রেস
ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং তার ছেলে কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীকে নোটিস পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কংগ্রেস দল কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একে প্রতিহিংসার রাজনীতি বলে মন্তব্য করেছে।
বেআইনিভাবে অর্থ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে তদন্তকারী সংস্থা ‘ইডি’র পক্ষ থেকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর পক্ষ থেকে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাহুল গান্ধীকে ২ জুন এবং সোনিয়া গান্ধীকে ৮ জুন ইডি’র দফতরে হাজির হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আজ (বুধবার) কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সূর্যেওয়ালা বলেছেন, স্বৈরাচারী সরকার ভয় পেয়েছে। সেজন্য প্রতিশোধ নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার প্রতিশোধের নেশায় অন্ধ হয়ে গেছে।
বিশিষ্ট আইনজীবী ও কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বুধবার ইডি’র নোটিস প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রতিশোধের ভাবনায় এটি একটি মনগড়া অভিযোগ। এ ক্ষেত্রে ‘ইডি’ কিছুই পাবে না। রাহুল গান্ধী বাইরে আছেন, তার জন্য সময় চাওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি বেআইনি অর্থ লেনদেনের মামলার এক অদ্ভূত নোটিস, যার সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন জড়িত নেই। এটি সম্পূর্ণ প্রতিহিংসার রাজনীতি। আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে এর মোকাবিলা করব।’
অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আরও বলেন, ‘গত ৭/৮ বছর ধরে এই মামলা চলছে এবং এখন পর্যন্ত এজেন্সি কিছুই পায়নি। ৭ বছর পর জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে এই সমন পাঠানো হয়েছে। দেশের মানুষ সব বোঝে। ‘ইডি’, ‘ সিবিআই’ এবং ‘আয়কর’-এর মত এজেন্সির অপব্যবহার করে বিরোধী দলগুলোকে ভয় দেখানো হচ্ছে।
জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমলে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে মাঠে নামেন বিজেপি’র সিনিয়র নেতা সুব্রমনিয়াম স্বামী।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/আবুসাঈদ/ ১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।