কর্ণাটকে বিজেপি নেতাকে হত্যা, ১৪৪ ধারা জারি, মুখ্যমন্ত্রীর শোক প্রকাশ
ভারতে কর্ণাটক রাজ্যের দক্ষিণ কন্নড় জেলায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের হামলায় বিজেপি নেতা প্রবীণ নেত্তারু (৩২) নিহত হয়েছেন। প্রবীণ নেত্তারু বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সম্পাদক ছিলেন।
কর্ণাটকের ওই বিজেপি নেতা সম্প্রতি রাজস্থানে নিহত কানহাইয়া লালকে হত্যার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি প্রতিবাদ পোস্ট করেছিলেন। এ দিক থেকেও তদন্ত করছে পুলিশ। নিহত কানহাইয়া লাল বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার সমর্থনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। নূপুর শর্মা সম্প্রতি মহানবী (সা.)-এঁর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করায় বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নূপুর শর্মাকে দল থেকে সাসপেন্ড করে বিজেপি।
কর্ণাটকে বিজেপি নেতা নিহত হওয়ার পর বিজেপি কর্মীরা পুত্তুরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন, যা গতকাল (মঙ্গলবার) গভীর রাত পর্যন্ত চলে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ দক্ষিণ কন্নড়ে বনধ ডাকা হয়। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই দলীয় নেতার হত্যায় শোক প্রকাশ করেছেন।
গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলায়, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বিজেপি যুব মোর্চা নেতা প্রবীণ নেত্তারুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে পুত্তুর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ কন্নড় জেলার বেল্লারে গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ম্যাঙ্গালোর এবং উডুপি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়েছে।
আজ (বুধবার) কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই আশ্বাস দিয়েছেন যে ওই জঘন্য কাজের সাথে জড়িত অপরাধীদের শিগগিরি গ্রেফতার করা হবে এবং আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।
ওই হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) ডাকে বনধের আহ্বানে আজ দোকানের মালিকরা শাটার নামিয়ে দেন। ভিএইচপি’র পক্ষ থেকে সুলিয়া, কদবা এবং পুত্তুর তালুকে বনধের ডাক দেওয়া হয়। কিছু জায়গা থেকে সরকারি বাসে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। বোলভারে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় পুত্তুর থেকে ম্যাঙ্গালুরুগামী একটি বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জনগণের বিক্ষোভের মধ্যে পুলিশ ওই এলাকার সব দোকান, প্রতিষ্ঠান ও হোটেল বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে, হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশের পাঁচটি টিম গঠন করা হয়েছে। জেলা পুলিশ প্রধান রুশিকেশ সোনানে বলেন, ‘এলাকায় উত্তেজনার কারণে জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তিন হামলাকারী মোটর বাইকে করে এসেছিল। আমাদের কাছে তথ্য আছে যে, বাইকটিতে কেরালার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল। আমরা সূত্রের জন্য সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করছি।’
বিজেপির দক্ষিণ কন্নড় ইউনিটের সভাপতি সুদর্শন মুদবিদরি বলেছেন, নিহত প্রবীণ নেত্তারু সঙ্ঘ পরিবারের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন, যিনি সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তার ছাপ ফেলেছিলেন। #
পার্সটুডে/এমএএইচ/বাবুল আখতার/২৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।