ডিসেম্বর ২৪, ২০২২ ১৮:৪৮ Asia/Dhaka
  • করোনা রুখতে রাজ্যগুলোকে অক্সিজেন সরবরাহ ও ভেন্টিলেটর ঠিক রাখার নির্দেশ

ভারতে করোনার মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রাজ্য সরকারগুলোকে চিঠি পাঠিয়ে অক্সিজেন সরবরাহে যাতে কোনো ঘাটতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে নির্দেশ দিয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে দেশে করোনার গতি ধীর, কিন্তু আসন্ন চ্যালেঞ্জের জন্য আমাদের আগে থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে। সেজন্য ভেন্টিলেটর এবং অক্সিজেন সরবরাহকারী মেশিনগুলোকে ভাল অবস্থায় রাখতে হবে।

এর আগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ মনসুখ মান্ডব্য বলেন, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং এবং থাইল্যান্ড থেকে আসা যাত্রীদের জন্য আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা প্রয়োজন। এই দেশগুলোর কোনও যাত্রীর যদি কোভিড ১৯-এর লক্ষণ দেখা যায় বা পরীক্ষায় পজিটিভ দেখায়, তবে তাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।  

এরইমধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কোনও ভক্তকে মাস্ক না পরে কাটরায়  বৈষ্ণোদেবীর দর্শনের অনুমতি দেওয়া হবে না। আজ (শনিবার) থেকে দিল্লি বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বিদেশ থেকে ফেরা যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে দেশের আরও কিছু বিমানবন্দরেও। সেনাবাহিনী জওয়ানদের কোভিড প্রোটোকলের মতো মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব অনুসরণের জন্য নির্দেশনা জারি করেছে।

ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২০১টি নতুন করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। আজ (শনিবার) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতে ৩ হাজার ৩৯৭ টি সক্রিয় ঘটনা রয়েছে, যা মোট আক্রান্তের ০.০১ শতাংশ। সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৮.৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় ১৮৩ জন সুস্থ হয়েছেন, যার ফলে মোট সুস্থতার সংখ্যা হয়েছে ৪ কোটি ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৭৯১।

অন্যদিকে, ভ্যাকসিন নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেননি। এ পর্যন্ত কোনও রাজ্যে বুস্টার ডোজের কভারেজ ৫০ শতাংশে পৌঁছায়নি। তবে, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ এবং উড়িষ্যায় ৪০ শতাংশের বেশি লোক বুস্টার ডোজ পেয়েছে। 

করোনা মহামারী মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার গত তিন দিনে তিনটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছে। গতকাল (শুক্রবার) রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। তিনি টি৩ কৌশল অর্থাৎ, টেস্ট, ট্র্যাক এবং ট্রিট  কৌশল গ্রহণ করার উপর জোর দিয়েছেন।   

প্রখ্যাত চিকিৎসক ডা. নরেশ ত্রেহানকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যারা কোভিড ভ্যাকসিন পেয়েছেন তারা কী এই ভাইরাসের ঝুঁকিতে আছেন? তিনি বলেন, এই ভ্যারিয়েন্টকে শরীরে প্রবেশ করা থেকে ভ্যাকসিন প্রতিরোধ করতে পারে কী না তা স্পষ্ট নয়। সংক্রমণ কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, সেটাও দেখতে হবে। অনেক ভাইরাসের প্রভাব আছে, কিন্তু শরীরে তাদের প্রভাব কম। ওমিক্রনে জ্বর, মাথাব্যথা দেখা দিলেও ফুসফুসে তেমন প্রভাব পড়েনি। ডা. ত্রেহান আরও বলেন, দেশের কথা যদি বলি, অনেক মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছেন। বিপুল সংখ্যক মানুষের কোভিড সংক্রমণ হয়েছিল। কোভিডের পরে আসে প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা। যারা বুস্টার ডোজ পেয়েছে তাদের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। #

পার্সটুডে/এমএএইচ/এমআরএইচ/২৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ