‘আইএসএফ’ বিধায়ক
নওশাদ সিদ্দিকিকে ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা ‘আইএসএফ’ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে আজ ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বারুইপুর আদালত।
ভাঙড়ের হাতিশালায় রাজ্যে শাসক দল তৃণমুলের পার্টি অফিস ভাঙচুর, আগুন দেওয়া, তৃণমূল কর্মীদের মারধর, এলাকায় অশান্তি তৈরির চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে আজ (শুক্রবার) তাকে বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয়।
আজ বারুইপুর আদালতে ঢোকার মুখে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘শাসকদলের ভোটব্যাঙ্ক নষ্ট হচ্ছে তাই এই গ্রেফতারি। কিন্তু গরিব মানুষের এই লড়াই চলবে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে হারের ভয়ে আটকে রাখার চেষ্টা চলছে।’ তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
অন্যদিকে, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আজ বলেন, 'ধর্মকে অবলম্বন করে রাজনীতি করা উচিত নয়, গোটা বাংলায় একটামাত্র আসন পেয়েছে আইএসএফ। তৃণমূল এ নিয়ে ভাবছে না।' আজ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে বারুইপুর মহকুমা আদালত আনা হলে, আদালত চত্বরে স্লোগান দিতে শুরু করেন ‘আইএসএফ’ কর্মীরা। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
গত ২১ জানুয়ারি, আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসে কোলকাতার ধর্মতলায় যাওয়ার পথে ভাঙড়ের হাতিশালায় তৃণমূলের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানানোকে কেন্দ্র করে কোলকাতায় পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ সমর্থকদের সংঘর্ষ হলে গ্রেফতার হন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ও তার কয়েকজন কর্মী-সমর্থক। তাদেরকে পরে ব্যাঙ্কশাল আদালত ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। মেয়াদ শেষে নির্ধারিত দিনে তাদেরকে আদালতে পেশ করা হলে আদালত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
অন্যদিকে, এবার ভাঙড়কাণ্ডের ঘটনায় আইএসএফ বিধায়ককে হেফাজতে চেয়ে গতকাল বারুইপুর আদালতে আবেদন জানায় কোলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় আজ শুক্রবার বিধায়ক ও পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকিকে আদালতে তোলা হয়। আদালত ৬ দিনের জন্য তাকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
আজ আদালত চত্বরে উপস্থিত আইএসএফের রাজ্য কমিটির নেতা মুহাম্মাদ সাজাহান লস্কর বলেন, ‘পুলিশ ষড়যন্ত্র করে নওশাদ সিদ্দিকিকে ফাঁসিয়েছে। এই জামিন যে হবে না, তা জানতাম। যাদের জেলে থাকার কথা তারা বাইরে আছে, আর যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলে তারা জেলের ভিতরে। তবে আমাদের আইনের উপর ভরসা আছে। আর আমরাও রাস্তায় থাকব। আমাদের নেতা জেলে আছেন, তবে হাজার হাজার কর্মী রাস্তায় আছেন।’
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘নওশাদ সিদ্দিকির গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। তার দায় যাদের, তাদের গ্রেফতার না করে তৃণমূল ভয় পেয়ে এ সব করছে।’#
পার্সটুডে/এমএএইচ/এমবিএ/৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।